অধিকার’র সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

অধিকার’র সম্পাদক আদিলুরের বিরুদ্ধে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু

মানবাধিকার সংগঠন অধিকার’র সম্পাদক আদিলুর রহমান খানের বিরুদ্ধে দায়ের হওয়া মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়েছে। ৮ বছর আগে মতিঝিলের শাপলা চত্বর অবরোধ করে রাখা হেফাজতে ইসলামের নেতাকর্মীদের সরানোর অভিযানে মৃত্যুর সংখ্যা নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে।

মঙ্গলবার ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক আসসামছ জগলুল হোসেনের আদালতে ডিবির তৎকালীন উপ-পরিদর্শক (বর্তমানে সিআইডির পরিদর্শক) আশরাফুল ইসলাম সাক্ষ্য দেন। যিনি এই মামলার বাদী।

তথ্যপ্রযুক্তি আইনের মামলায় আদিলুর ছাড়াও আসামি করা হয়েছে সংগঠনটির পরিচালক এএসএম নাসির উদ্দিন এলানকে। দুজনই জামিনে রয়েছেন।

২০১৩ সালে ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতের সমাবেশ ভণ্ডুলের যৌথ অভিযানে ৬১ জন নিহত হওয়ার দাবি করেছিল আদিলুরের সংগঠন অধিকার।

মঙ্গলবার পুলিশ কর্মকর্তা আশরাফুল আদালতে বলেন, হেফাজতে ইসলামের ওই সমাবেশে পুলিশের ওপর হামলা ও সংঘর্ষের ঘটনায় ২০১৩ সালের ৫ মে সকালে পুলিশসহ ১১ জন মারা যান। অথচ অধিকারের ওয়েবসাইটে একই বছরের ১০ জুন ৬১ জনের মৃত্যুর কথা উল্লেখ করা হয়। ওই প্রতিবেদনে বিভিন্ন সময়ে নাশকতার পুরনো কিছু ছবিও যুক্ত করা হয়। ওই প্রতিবেদনের মাধ্যমে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম জনগোষ্ঠীকে উসকানি ও রাষ্ট্রের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করে- ২০০৬ সালের তথ্যপ্রযুক্তি আইনের ৫৭(১)(২) ধারার অপরাধের উপাদান পাওয়া যায়।

সাক্ষ্যগ্রহণের পর আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মদ রুহুল আমিন ভুঁইয়া তাকে (আশরাফুল) জেরা করেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ট্রাইব্যুনালের বিশেষ পাবলিক প্রসিকিউটর নজরুল ইসলাম শামীম।

শাপলা চত্বরে হেফাজত কাণ্ডের পর ১০ আগস্ট গুলশান থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন ডিবির তৎকালীন এসআই আশরাফুল ইসলাম। ১০ আগস্ট রাতে আদিলুরকে গ্রেফতার করা হয়। দুই মাস পরে কারাবন্দি থেকে জামিনে মুক্তি পান আদিলুর।

পরে তথ্য বিকৃতির অভিযোগে ওই সাধারণ ডায়েরির তদন্ত শেষে অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক নাসিরুদ্দিন এলানের বিরুদ্ধে ওই বছরের ৪ সেপ্টেম্বর ঢাকার আদালতে চার্জশিট (অভিযোগপত্র) দেন আশরাফুল। পরদিন মামলাটি বিচারের জন্য ঢাকার সাইবার ক্রাইম ট্রাইব্যুনালে পাঠানো হয়। এরপর ১১ সেপ্টেম্বর অভিযোগ আমলে নেয় ট্রাইব্যুনাল।