নতুন জটিলতায় মেট্রোরেল প্রকল্প

নতুন জটিলতায় মেট্রোরেল প্রকল্প

একটি নগর ব্যবস্থাপনা কতটা সমন্বয়হীন তার উৎকৃষ্ট উদাহরণ রাজধানী ঢাকা। দীর্ঘ মেয়াদে জলবদ্ধতা নিরসনে একপক্ষ বসাচ্ছে ৬ ফুট চওড়া পাইপ, আরেকপক্ষ সেখানেই করতে চাইছে বহুল কাঙিক্ষত মেট্রোরেলের পিয়ার।

শুরুতে মেট্রোরেলের পরিধি ছিল উত্তরা দিয়াবাড়ি থেকে মতিঝিল পর্যন্ত। ২০ কিলোমিটার এই উড়াল পথের দৈর্ঘ্য পরে দেড় কিলোমিটারের মতো বাড়িয়ে নেয়া হয় কমলাপুর রেলস্টেশন পর্যন্ত।

দুই বছর আগে নেয়া ওই পরিকল্পনা সে সময় বাধার মুখে পড়ে কমলাপুর রেলস্টেশন ঘিরে নেয়া রেল মন্ত্রণালয়ের আলাদা প্রকল্পের কারণে। পরে অবশ্য সমীক্ষা শেষে কমলাপুর রেলস্টেশনে মাল্ডিমোডাল হাব বানানোর সিদ্ধান্ত হয়। এ জন্য কিছুটা উত্তরে সরিয়ে নেয়া হচ্ছে দেশের আইকনিক স্থাপনা কমলাপুর রেলস্টেশন।

আরও পড়ুন: জাতীয় প্রেস ক্লাবে রাজনৈতিক সমাবেশ-কর্মসূচি বন্ধ ঘোষণা

এমন জটিলতা না কাটতেই এবার নতুন বিপত্তি দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের নেয়া দীর্ঘ মেয়াদী জলাবদ্ধতা প্রকল্পের সঙ্গে। কমলাপুর রেলস্টেশনের সামনে রাস্তায় চলমান কাজ পরিদর্শন শেষে মেট্রোরেল কর্তৃপক্ষের উপর ক্ষোভ প্রকাশ করেন মেয়র ব্যারিস্টার তাপস।

এ সময় ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন মেয়র তাপস জানান, ঢাকাবাসীকে জলাবদ্ধতায় রেখে উড়াল পথ খুব একটা সুখকর হবে না। তাই সব পক্ষকে সমন্বয় করে সবাইকে রাজধানীর উন্নয়নে একসঙ্গে কাজ করতে হবে। মেট্রোরেল কতৃপক্ষ বলেছিল, কামলাপুর রেলস্টেশনের সামনের রাস্তার ড্রেনেজ ব্যবস্থা মেট্রোরেলে বাধাগ্রস্ত হবে না। কিন্তু সরেজমিনে দেখা গেল, এটি মেট্রোরেল প্রকল্পের সঙ্গে সাংঘর্ষিক হচ্ছে।

তবে মেট্রোরেল প্রকল্পের অতিরিক্ত পরিচালক মো. আব্দুল বাকী মিয়া জানান, সিটি করপোরেশনের ড্রেনেজ লাইন মেট্রোরেলের সঙ্গে সাংঘর্ষিক নয়, তবে পিয়ার পাইল নির্মাণে ড্রেনেজ লাইন বাধাগ্রস্ত হতে পারে। প্রয়োজনে সেটি করপোরেশনের ড্রেনেজ লাইনের পাইপ সরিয়ে নেয়া যেতে পারে।

এই পথেই মেট্রোরেল এমআরটি ওয়ানের পাতাল পথের পরিকল্পনা রয়েছে।