অন্য ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে কলকাতা থেকে

অন্য ঘটনার ভিডিও ফেসবুকে ছড়ানো হয়েছে কলকাতা থেকে

রাজধানীর পল্লবীতে সংঘটিত সাহিনুদ্দিন হত্যার ভিডিও ফুটেজকে সম্প্রতি নোয়াখালীর যতন সাহার হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপ দাবি করে তা ফেসবুকে আপলোড করার সঙ্গে জড়িত দুই ব্যক্তিকে শনাক্ত করার কথা জানিয়েছে র‍্যাব। র‍্যাব বলেছে, ভারতের দুটি আইডি থেকে সাহিনুদ্দিন হত্যার ভিডিও ক্লিপটি নোয়াখালীর যতন সাহার বলে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

গত ১৬ মে বিকেলে পল্লবীর সিরামিকস ফটকের কাছে দুর্বৃত্তরা শিশুপুত্রের সামনে তারা বাবা সাহিনুদ্দিনকে কুপিয়ে হত্যা করে। ওই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়ে। আজ দুপুরে সেই ভিডিও ক্লিপটি নোয়াখালীর যতন সাহার বলে ফেসবুকে আপলোড করে গুজব ছড়ানো হয়।

আজ সন্ধ্যায় র‍্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশনস) কর্নেল কে এম আজাদ এ নিয়ে প্রথম আলোকে বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় র‍্যাব জানতে পেরেছে, সাহিনুদ্দিন হত্যাকাণ্ডের ভিডিও ক্লিপটি ভারতের কলকাতা থেকে দেবদৃতা ভৌমিক নামের একজন প্রথম ফেসবুক মেসেঞ্জারে ছড়িয়ে দেন। আর দেবদাস মণ্ডল কলকাতা থেকেই ওই ভিডিওটি টুইটারে আপলোড করে গুজব ছড়িয়ে দেন। কর্নেল কে এম আজাদ জানান, ওই গুজব ছড়ানোর ঘটনায় বাংলাদেশভিত্তিক কুশীলবদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে।

এর আগে আজ দুপুরে র‍্যাব সদর দপ্তরে আয়োজিত র‍্যাবের প্রযুক্তিগত আধুনিকায়ন কার্যক্রমের উদ্বোধন অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেছিলেন, ‘কিছুক্ষণ আগেই আমার দৃষ্টিগোচর হয়েছেন স্বার্থান্বেষী একটি মহল অপপ্রচার ও উসকানিমূলক প্রচারণা চালিয়ে যাচ্ছে। বিভিন্ন সময় ঘটে যাওয়া নৃশংস ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ব্যবহার করে তারা সাম্প্রতিক সময়ে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের চেষ্টা করে যাচ্ছে। গত ১৬ মে রাজধানীর পল্লবীতে (সাহিনুদ্দিন হত্যা) একটি নৃশংস হত্যার ঘটনা ঘটে। দুই যুবক একজনকে চাপাতি দিয়ে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যা করছেন। সেই হৃদয়বিদারক ঘটনা দেখে সবার হৃদয় কেঁপে উঠেছে। সেই ঘটনার ভিডিও ফুটেজ ক্লিপ আকারে প্রচার করে একটি মহল নোয়াখালীর যতন সাহাকে একইভাবে হত্যা করা হয়েছে মর্মে অপপ্রচার করছে। বিষয়টি খুবই দুঃখজনক, ন্যক্কারজনক ও অমানবিকও বটে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেছিলেন, যারা এ ধরনের অপপ্রচার চালিয়ে ফায়দা লুটার চেষ্টা করছে, তাদের হুঁশিয়ার করে দিচ্ছি, তাদের অবশ্যই খুঁজে বের করা হবে। তাদের জবাব দিতেই হবে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষকারী বাহিনী তাদের খুঁজে বের করে উপযুক্ত শাস্তির ব্যবস্থা করবে। জবাব দিতে হবে তাদের, কেন তারা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও শান্তি বিনষ্ট করছে।