আবাসিক ও বাণিজ্যিকে পানির দাম পাঁচ শতাংশ বাড়াচ্ছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। বৃহস্পতিবার ওয়াসা বোর্ডের ৬৪তম সভায় দাম বাড়ানোর প্রস্তাব অনুমোদিত হয়।
নতুন দর অনুযায়ী প্রতি ইউনিট (১ হাজার লিটার) পানির জন্য আবাসিক গ্রাহকদের ১৩ টাকা ২ পয়সা এবং অনাবাসিক গ্রাহকদের ৩১ টাকা ৮২ পয়সা গুনতে হবে।
চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ জানান, পানি সরবরাহ ও পয়ঃনিষ্কাশন কর্তৃপক্ষ আইন-১৯৬৬-এর ২২ (২) ধারা অনুযায়ী প্রতি বছর পানির ইউনিটপ্রতি দর ৫ শতাংশ বাড়ানোর ক্ষমতা রয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসার। সে অনুযায়ী পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আগামী ডিসেম্বর থেকে বাড়তি এ দাম কার্যকর হবে।
তিনি বলেন, নিয়ম অনুযায়ী প্রতি বছর ৫ শতাংশ বাড়ানোর ক্ষমতা থাকলেও গ্রাহকদের কথা মাথায় রেখেই তা করা হচ্ছে না। দুই বছর পরপর এখন পানির দাম বাড়ানো হচ্ছে।
পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্তের সমালোচনা করেছে ভোক্তা অধিকার সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (ক্যাব)।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি এসএম নাজের হোসাইন এ প্রসঙ্গে বলেন, দেশে সব কিছুরই দাম বাড়ছে। ভোগ্যপণ্যের দাম বাড়ছে দফায় দফায়। এ অবস্থায় পানির দাম বৃদ্ধি কতটুকু যৌক্তিক তা ভেবে দেখতে হবে। ওয়াসা এ মুহূর্তে পানির দাম না বাড়ালেও পারত।
তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গ্রাহকদের স্বার্থ সংরক্ষণের জন্য জনপ্রতিনিধিসহ বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতাদের বোর্ড সদস্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাদের কাজ কি শুধু দফায় দফায় পানির দাম বাড়িয়ে মানুষের ভোগান্তি বাড়ানো? শুধু পানির দাম বাড়ানোর সময় ওয়াসার বোর্ড সদস্যদের দেখা যায়। সেবা নিয়ে গ্রাহকরা যখন কোনো অভিযোগ করেন, তখন তাদের পাওয়া যায় না— এটা হতাশাজনক।