পরীর পাহাড় বলা বা লেখা যাবে না: আদালত

পরীর পাহাড় বলা বা লেখা যাবে না: আদালত

চট্টগ্রাম নগরের কোতোয়ালি থানা এলাকায় অবস্থিত আদালত ভবন এলাকাকে এখন থেকে 'পরীর পাহাড়' বলা কিংবা লেখাও যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত।

বুধবার চট্টগ্রাম সদর প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ইসরাত জাহান নাসরিনের আদালত এ আদেশ দেন।

আদালত ভবন এলাকার নাম কোর্ট হিল, নাকি পরীর পাহাড় হবে- তা নির্ধারণ করতে গত ৭ নভেম্বর চট্টগ্রাম সদর প্রথম সিনিয়র সহকারী জজ ইসরাত জাহান নাসরিনের আদালতে দেওয়ানি মামলা করেন চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন।

মামলার বাদী অ্যাডভোকেট এএইচএম জিয়াউদ্দিন বলেন, ব্রিটিশ আমল থেকেই চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকাটি কোর্ট হিল হিসেবে চট্টগ্রামবাসীর কাছে পরিচিত। এখানে সরকারি ডাকঘর, সোনালী ব্যাংকও কোর্ট হিল শাখা হিসেবে সরকার স্বীকৃত। আদালত ভবনের নামফলকে পরীর পাহাড় নাম নেই। সরকারি সব নথিতে কোর্ট হিল লেখা রয়েছে। তাই আমরা কোর্ট হিলকে পরীর পাহাড় লেখার ওপর স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আদালতে মামলা করেছি। শুনানি শেষে কারণ দর্শানোর জবাব না দেওয়া পর্যন্ত পরীর পাহাড় বলা বা লেখা যাবে না বলে আদেশ দিয়েছেন আদালত। রোববার দায়ের করা মামলায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান, জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক নাজমুল হাসান এবং এসিল্যান্ড বাকলিয়া আতিকুর রহমানকে বিবাদী করা হয়। মামলা দায়েরের দিন আদালত শুনানি শেষে বিবাদীদের তিন দিনের মধ্যে পরীর পাহাড় লেখার ওপর নিষেধাজ্ঞা কেন দেওয়া হবে না, তার ব্যাখ্যা দিতে নির্দেশ দেন।