সপ্তম দফায় এসআই কামালকে ওসি প্রদীপের আইনজীবীর জেরা

সপ্তম দফায় এসআই কামালকে ওসি প্রদীপের আইনজীবীর জেরা

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভের শামলাপুর চেকপোস্টে পুলিশের গুলিতে নিহত মেজর (অব.) সিনহা হত্যা মামলার চলমান বিচারকার্যের সপ্তম দফায় সাক্ষ্যগ্রহণ চলছে।

সোমবার সোয়া ১০টার দিকে এসআই কামাল হোসেনের জবানবন্দি গ্রহণের মধ্য দিয়ে শুরু হয় সপ্তম দফার কার্যক্রম। তিনি ছাড়াও আরও পাঁচ সাক্ষী হাজিরা দিয়েছেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষের কৌঁসুলি অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম। এদের মধ্যে একজনকে রিকল সাক্ষী হিসেবে ডাকা হয়েছে। আগামী ১৭ নভেম্বর পর্যন্ত চলবে সাক্ষ্যগ্রহণ।

কামাল হোসেন ছাড়াও হাজিরা দেওয়া অপর সাক্ষীরা হলেন— পরিদর্শক মানস বড়ুয়া, কনস্টেবল মোশারফ, ওসি এবিএম এস দৌহা, এএসপি জামিলুর ও রিকল সাক্ষী সার্জেন্ট আইয়ুব।

কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে এ সাক্ষ্যগ্রহণ শুরুর আগে অন্যদিনের মতো সকালে ওসি প্রদীপ কুমারসহ ১৫ আসামিকে আদালতে আনা হয়েছে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী, কক্সবাজার জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) অ্যাডভোকেট ফরিদুল আলম বলেন, মামলায় ৮৩ সাক্ষীর মধ্যে পঞ্চম দফায় মামলার ৩৫ সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। ষষ্ঠ দফায় ২৫ থেকে ২৭ অক্টোবর পর্যন্ত সাক্ষ্যগ্রহণের জন্য আদালত মামলার আরও ২৪ সাক্ষীকে সমন দেওয়া হয়। কিন্তু ১৮ জন উপস্থিত হওয়ায় তাদের হাজিরা নেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

পিপি বলেন, চাঞ্চল্যকর এ মামলাটি দ্রুত সম্পন্ন করতে আমাদের প্রচেষ্টা থাকলেও আসামিপক্ষ সবসময় তাতে ব্যাঘাতের চেষ্টা চালাচ্ছেন। আসামির আইনজীবীরা মামলায় সাক্ষ্য শেষ হওয়া সাক্ষীকে রিকলের আবেদন করছেন বারবার।

গত ১২ অক্টোবর দ্বিতীয় সাক্ষীকে রিকল আবেদন দেয়। এর পর আবার অপর সাক্ষী সার্জেন্ট আইয়ুবকে রিকল দেওয়া হয়েছে। এটি মামলার গতিশীল কার্যক্রমকে স্থবির করার পাঁয়তারা বলে উল্লেখ করেন পিপি।

প্রসঙ্গত ৩১ জুলাই রাতে টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের শামলাপুর তল্লাশিচৌকিতে পুলিশের গুলিতে মেজর সিনহা নিহত হন। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে তিনটি (টেকনাফে দুটি, রামুতে একটি) মামলা করে। ঘটনার পর গত ৫ আগস্ট কক্সবাজার আদালতে প্রদীপ কুমার দাশ, লিয়াকত আলীসহ ৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন মেজর সিনহার বড় বোন শারমিন শাহরিয়া ফেরদৌস।

আলোচিত এ মামলায় গত বছর ১৩ ডিসেম্বর তদন্ত কর্মকর্তা ও র‌্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের তৎকালীন দায়িত্বরত সহকারী পুলিশ সুপার খাইরুল ইসলাম ওসি প্রদীপসহ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।

গত ২৭ জুন আদালত ১৫ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।

এমজে/