৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ রোহিঙ্গা চক্রের বিরুদ্ধে

৪ স্কুল শিক্ষার্থীকে অপহরণের পর মুক্তিপণ দাবির অভিযোগ রোহিঙ্গা চক্রের বিরুদ্ধে

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলার সোনারপাড়া উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ ছাত্রকে অপহরণের পর রোহিঙ্গাদের একটি চক্র ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করছে বলে অভিযোগ করেছে অপহৃতদের পরিবার।

সেন্টমার্টিন দ্বীপে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার নাম করে ওই ৪ ছাত্রকে কৌশলে অপহরণ করে চক্রটি।

গত মঙ্গলবার এই অপহরণের ঘটনা ঘটলেও আজ বৃহস্পতিবার বিকেল পর্যন্ত ওই ছাত্রদের কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। তবে এরই মধ্যে চক্রটি অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবার ও স্বজনদের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করে নগদ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে।

এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে রামু থানায় অভিযোগ করা হয়েছে বলে রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন জানিয়েছেন।

অপহৃত ৪ শিক্ষার্থী হলো- রামু উপজেলার খুনিয়াপালং ইউনিয়নের হিমছড়ির প্যাঁচারদ্বীপের কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়ক সংলগ্ন মোংলা পাড়ার মোহাম্মদ কায়সার, মিজানুর রহমান, জাহেদুল ইসলাম ও মিজানুল ইসলাম। তাদের মধ্যে জাহেদুল ইসলাম ১০ম শ্রেণির এবং অপর ৩ জন ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।

শিক্ষার্থীদের স্বজনদের অভিযোগ, জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিম নামের ২ রোহিঙ্গার নেতৃত্বে একটি চক্র ৪ শিক্ষার্থীকে অপহরণ করেছে। অভিযুক্ত ওই ২ রোহিঙ্গা টেকনাফের নয়াপাড়া রোহিঙ্গা শিবিরের (ক্যাম্প- ২৬) সি ব্লকে থাকেন। তারা ২ জনই কক্সবাজার-টেকনাফ মেরিন ড্রাইভ সড়কের হিমছড়ির প্যাঁচারদ্বীপ এলাকার একটি আবাসিক কটেজের কর্মচারী।

অপহৃত শিক্ষার্থী মোহাম্মদ কায়সারের বাবা আবদুর রহিম বলেন, 'প্যাঁচারদ্বীপের কটেজের কর্মচারী জাহাঙ্গীর আলম ও মো. ইব্রাহিমের সঙ্গে আমার ছেলেসহ ৪ স্কুলছাত্রের বন্ধুত্ব হয়। সেই সম্পর্কের সূত্র ধরে মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ৪ জনকে সেন্টমার্টিনে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে টেকনাফের হ্নীলা বাসস্টেশন সংলগ্ন ইসলামী ব্যাংকের পেছনে নিয়ে যান জাহাঙ্গীর ও ইব্রাহিম। সেখান থেকে মোবাইল ফোনে মুক্তিপণের নগদ টাকা দাবি করেন তারা। তারা ৪ শিক্ষার্থীকে মারধর করছেন। মুক্তিপণের টাকা না দিলে ছেলেদের মেরে ফেলারও হুমকি দিচ্ছেন। আমরা বিষয়টি রামু থানাকে জানিয়েছি।'

সবশেষ গতকাল বুধবার রাতে একটি মুঠোফোন নম্বর থেকে স্বজনদের কাছে ফোন করে ৪ শিক্ষার্থীর মুক্তিপণ হিসেবে ৫ লাখ টাকা করে মোট ২০ লাখ টাকা দাবি করা হয় বলে জানায় অপহৃত শিক্ষার্থীদের পরিবার।

রামু থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আনোয়ারুল হোসাইন বলেন, 'আমরা স্কুল ছাত্রদের পরিবারের কাছ থেকে গতকাল অভিযোগ পেয়েছি। রামু থানা পুলিশ টেকনাফ থানা পুলিশকে সাথে নিয়ে অপহৃত শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে বিভিন্ন স্থানে।'

টেকনাফ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল হালিম বলেন, 'শিক্ষার্থী অপহরণের বিষয়টি রামু থানার মাধ্যমে জানার পরপরই টেকনাফ থানা পুলিশ মাঠে নেমেছে। শিক্ষার্থীদের অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার ও অপহরণকারীদের আটকের জন্য অন্যান্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী সংস্থাও কাজ করছে।'

এমজে/