করোনা সংক্রমণে রেড জোনে ঢাকা ও রাঙামাটি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনা সংক্রমণে রেড জোনে ঢাকা ও রাঙামাটি: স্বাস্থ্য অধিদপ্তর

করোনা সংক্রমণের রেড জোনে রয়েছে, ঢাকা ও রাঙ্গামাটি জেলা। গেল এক সপ্তাহের তথ্য বিশ্লেষণ করে এ তথ্য জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।

অধিদপ্তর বলছে, রাজধানীতে সংক্রমণ হার ১২.৯০ শতাংশ আর রাঙামাটিতে এই হার ১০ শতাংশ।

এছাড়া ইয়োলো জোন বা মধ্যম ঝুঁকিতে আছে সীমান্তবর্তী জেলা যশোর, রাজশাহী, দিনাজপুর, লালমনিরহাট, নাটোর, রংপুর জেলা। আর সংক্রমণের গ্রিন জোন বা ক্ষীণ ঝুঁকিতে আছে ৫৪ জেলা। পঞ্চগড় এবং বান্দরবান জেলায় নমুনা পরীক্ষার হার খুবই কম হয়েছে।

এছাড়া পূর্ববর্তী ৭ দিনের চেয়ে গেলো ৭ দিনে বেড়েছে ১৬৯.১২ শতাংশ বেশি তবে মৃত্যু হার কমেছে ২০ শতাংশ।

এরই মধ্যে গত সোমবার (১০ জানুয়ারি) করোনাভাইরাস প্রতিরোধে ১১টি বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হবে।

প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, নতুন ধরন ওমিক্রনসহ দেশে করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় আন্তঃমন্ত্রণালয়ে সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। দেশের আর্থ-সামাজিক অবস্থা, অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড সচল রাখতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত বিধিনিষেধগুলো মেনে চলতে হবে।

বিধিনিষেধগুলো হলো-
১. দোকান, শপিংমল ও বাজারে ক্রেতা-বিক্রেতা এবং হোটেল-রেঁস্তোরাসহ সব জনসমাগমস্থলে বাধ্যতামূলকভাবে সবাইকে মাস্ক পরতে হবে। অন্যথায় আইনানুগ শাস্তির সম্মুখীন হতে হবে;

২. অফিস-আদালতসহ ঘরের বাইরে অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালনে ব্যত্যয় রোধে সারাদেশে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করতে হবে;

৩. রেঁস্তোরায় বসে খাবার খাওয়া এবং আবাসিক হোটেলে থাকার জন্য অবশ্যই করোনা টিকা সনদ দেখাতে হবে;

৪. ১২ বছরের ঊর্ধ্বের সব ছাত্র-ছাত্রীকে শিক্ষা মন্ত্রণালয় নির্ধারিত তারিখের পরে টিকা সনদ ছাড়া শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ঢোকার অনুমতি দেয়া হবে না;

৫. স্থলবন্দর, সমুদ্রবন্দর ও বিমানবন্দরসমূহে স্ক্রিনিংয়ের সংখ্যা বাড়াতে হবে। বন্দরগুলোতে নাবিকদের জাহাজের বাইরে আসার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা দিতে হবে। স্থলবন্দরগুলোতেও আসা ট্রাকের সঙ্গে শুধু চালক থাকতে পারবেন। কোনো সহকারী আসতে পারবেন না। বিদেশগামীদের সঙ্গে আসা দর্শণার্থীদের বিমানবন্দরে প্রবেশ বন্ধ করতে হবে,

৬. ট্রেন, বাস ও লঞ্চে সক্ষমতার অর্ধেক সংখ্যক যাত্রী নেয়া যাবে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এ বিষয়ে কার্যকারিতার তারিখসহ সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা জারি করবে। সবধরনের যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে।

৭. বিদেশ থেকে আসা যাত্রীসহ সবাইকে বাধ্যতামূলক কোভিড-১৯ টিকা সনদ প্রদর্শন এবং র‌্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট করতে হবে;

৮. স্বাস্থ্যবিধি মানা এবং মাস্ক পরার বিষয়ে সব মসজিদে জুমার নামাজের খুতবায় ইমাম সংশ্লিষ্টদের সচেতন করবেন। জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তারা বিষয়টি নিশ্চিত করবেন;

৯. সর্বসাধারণের করোনার টিকা এবং বুস্টার ডোজ নেয়া ত্বরান্বিত করার লক্ষ্যে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় প্রচার ও উদ্যোগ নেবে। এক্ষেত্রে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সহায়তা নেবে;

১০. কোভিড আক্রান্তের হার ক্রমবর্ধমান হওয়ায় উন্মুক্ত স্থানে সবধরনের সামাজিক, রাজনৈতিক, ধর্মীয় অনুষ্ঠান এবং সমাবেশ পরবর্তী নির্দেশনা না দেয়া পর্যন্ত বন্ধ রাখতে হবে;

১১. কোনো এলাকার ক্ষেত্রে বিশেষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হলে সেক্ষেত্রে স্থানীয় প্রশাসন সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে আলোচনা করে ব্যবস্থা নিতে পারবে।

উল্লিখিত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করা হলো।