গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

গণপরিবহনে মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি

করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট ওমিক্রন প্রতিরোধে বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। বিধিনিষেধ ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা থাকলেও সঠিক ভাবে মানা হচ্ছে না।

এদিকে শনিবার (১৫ জানুয়ারি) থেকে স্বাস্থবিধি মেনে শতভাগ যাত্রী নিয়ে গণপরিবহন চলার কথা থাকলেও মানা হচ্ছে না স্বাস্থবিধি। নেই কোনো মনিটরিং। যে যার মতো করে চালাচ্ছে গণপরিবহন। থেকেই যাচ্ছে সংক্রমিত হওয়ার শঙ্কা।

এদিন সকালে রাজধানীর ফার্মগেট, আগারগাঁও, তালতলা, শেওরাপাড়া, কাজীপাড়া ও মিরপুরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। সরেজমিনে দেখা যায়, বাসে বেশিরভাগ যাত্রী দাঁড়া করিয়ে নেওয়া হচ্ছে। বাসে ওঠার সময় দেওয়া হচ্ছেনা জীবাণুনাশক।

বাস হেলপাররা বলছেন, বাসের মধ্যে রাখা আছে জীবাণুনাশক। কিন্তু যাত্রীরা দিতে চায় না। চালক ও হেলপার শুধুমাত্র মুখে মাস্ক পরে বাস নিয়ে বেরিয়ে পড়েছেন রাস্তায়। এছাড়াও অনেককে দেখা যাচ্ছে সঠিকভাবে মাস্ক পরছে না, অনেকে আবার খুলে রাখছেন, কেউ মাস্ক থুতনিতে দিয়ে রেখেছেন।

শিকর পরিবহনের হেলপার মো. আরমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় জীবাণুনাশক কোথায় আছে? হেলপার আরমান বলেন, হাতে রাখিনি। বাসের মধ্যে রাখা আছে। যাত্রীরা যখন দিতে চায় তখন দেই।

নোয়াখালীর একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র মো. নাহিদ হাসান মিরপুর ১০ নম্বর থেকে উঠেছেন বিকল্প পরিবহনে। যাবেন মতিঝিল। তিনি বলেন, বাসে মানা হচ্ছে না স্বাস্থবিধি। শুধু মাত্র সিটে বসিয়ে যাত্রী নেওয়ার কথা ছিল, এখন দাঁড় করিয়েও নেওয়া হচ্ছে।

প্রশ্ন রেখে তিনি বলেন, এদের নজরদারি করবে কে? স্বাস্থ্যবিধি থেকে যাচ্ছে কাগজে-কলমে। বাস্তবে নেই কোনো প্রয়োগ।

বিকল্প পরিবহনের হেলপার আবদুর রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয় বাসে কেন যাত্রী দাঁড়া করিয়ে নেওয়া হয়েছে। হেলপার রহমান বলেন, শেওড়াপাড়ায় যাত্রী নামাতে গিয়ে ওখান থেকে ৪-৫ জন যাত্রী বাসে উঠেছেন। তারা এখন দাঁড়িয়ে আছে। অন্য যাত্রীরা সামনে নামলে সিটে বসিয়ে দেবো।

তিনি বলেন, জীবাণুনাশক স্প্রে আছে। এ জীবানুনাশক দিতে চায়না যাত্রীরা। এ কারণেই হাতে রাখি না। সকালবেলা যখন বাস রাস্তায় বের করেছি তখন মিরপুর ১২ নম্বর বাসস্ট্যান্ডে প্রতিটি সিটে মেশিন দিয়ে স্প্রে করা হয়েছে।

একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা তানভীর আলম। মিরপুর ১২ নম্বর থেকে প্রজাপতি পরিবহনে ওঠেন। কথা হলে তানভীর বলেন, গণপরিবহনে কোনোভাবেই মানা হচ্ছে না স্বাস্থ্যবিধি। যাত্রীরা গাদাগাদি করে উঠছে বাসে। দাঁড়া করিয়ে যাত্রী নেওয়ায় নিষেধ থাকলেও তা মানা হচ্ছে না। সরকারের পক্ষ থেকেও পরিবহনগুলোর মনিটরিং করার তেমন কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। নামে মাত্র স্বাস্থ্যবিধি দিয়ে কি করোনা সংক্রমণ ঠেকানো যাবে?

এর আগে, সোমবার (১০ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ ১১ দফা বিধিনিষেধ দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে। যা ১৩ জানুয়ারি থেকে কার্যকর হওয়ার কথা।

এমজে/