দুদক কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক এমডির

দুদক কর্মকর্তার বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি কর্ণফুলী গ্যাসের সাবেক এমডির

কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরীর বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) উপ-সহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিনকে হত্যার হুমকি দেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এনিয়ে চট্টগ্রাম থেকে গত ২০২১ সালের জুনে পটুয়াখালীতে বদলি হওয়া দুদকের আলোচিত এই কর্মকর্তা থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেছেন।

জানা যায়, কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি. (কেজিডিসিএল) সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান তার এক সহযোগীকে নিয়ে রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে শরীফ উদ্দিনের চট্টগ্রাম নগরের খুলশী থানার বাসায় গিয়ে হত্যার হুমকি দেন। হুমকি পেয়ে খুলশী থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন দুদকের এই কর্মকর্তা।

জিডিতে মোহাম্মদ শরীফ উদ্দিন উল্লেখ করেন, তিনদিনের ছুটিতে আমি পটুয়াখালী থেকে চট্টগ্রামের বাসায় আসি। আজ রোববার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বাসায় আসেন কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লি.(কেজিডিসিএল) এর সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আইয়ুব খান চৌধুরী ও আরও একজন সহযোগী। আইয়ুব খান চৌধুরী দারোয়ানের উপস্থিতিতে বলেন, আমার কারণে তাঁর জীবন ধ্বংস হয়েছে। আমি নাকি তাঁর বিরুদ্ধে নিউজ করিয়েছি। দুদকে আমি কিভাবে চাকরি করি দেখে নেবে। চট্টগ্রামে দায়িত্ব পালনকালে তাঁর মতো অনেকের জীবন ধ্বংস করেছি আমি।

জিডিতে শরীফ উদ্দিন আরও উল্লেখ করেন, একপর্যায়ে তারা ফোন দিয়ে বাইরে থেকে লোক নিয়ে আসে।

তখন আমাকে ও আমার পরিবারের সদস্যদের মেরে ফেলার হুমকিও দেয়। আমি গেটে তালা দিয়ে তাদেরকে বের হয়ে যেতে বলি। পরে আইয়ুব খান চৌধুরীকে শান্ত হয়ে আমি জিজ্ঞাসা করি, কেন তিনি এই ধরনের অশোভন আচরণ করলেন? তখন আইয়ুব খান স্যরি বললেন। কিন্তু তার গতিবিধি ও উদ্দেশ্যে সন্দেহজনক। আমার যে কোন ক্ষতি করতে পারেন তারা।

এই বিষয়ে খুলশী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সন্তোষ কুমার চাকমা বলেন, ‘হত্যার হুমকির বিষয়ে একটি জিডি নিয়েছি। এই বিষয়ে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

উল্লেখ্য, মো. শরীফ উদ্দিন দুদক চট্টগ্রাম-২ এর উপ-সহকারী পরিচালক হিসেবে কর্মরত থাকাকালীন সময়ে এখানকার দুর্নীতিবাজ প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দায়ের ও গ্রেপ্তার করে আলোচনায় আসেন। কর্ণফুলী গ্যাসের তৎকালীন এমডি আইয়ুব খানের বিরুদ্ধেও দুর্নীতি, অনিয়মের মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়ার অভিযোগ করেছিলেন তিনি।

এমজে/