বেশি খাওয়ার প্রতিযোগিতায় জয়ী হলেন যাঁরা

বেশি খাওয়ার প্রতিযোগিতায় জয়ী হলেন যাঁরা

ভোজনরসিকদের মেলা বসেছিল বরিশালে। সেখানে চাচা-ভাতিজাদের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয় ব্যতিক্রমী ভোজন প্রতিযোগিতা। প্রতিযোগিতার নিয়ম একটাই, যে দল যত বেশি খেতে পারবে, তারা জিতবে। গতকাল শুক্রবার রাতে বরিশাল নগরের ভাটিখানা এলাকার শরীফবাড়িতে ব্যতিক্রমী এ আয়োজন করা হয়েছিল।

তবে শেষ পর্যন্ত ভাতিজাদের সঙ্গে পেরে ওঠেননি প্রবীণ চাচারা। রাত ১০টায় রান্না শেষে শুরু হয় এই প্রতিযোগিতা। এলাকার ২০ জন করে চাচা ও ভাতিজার দুটি দল প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়। ভাতিজা প্রতিযোগীদের বয়স ছিল ২৫ বছরের মধ্যে। আর চাচাদের বয়স ৫৫ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে। দুই দলের জন্য বরাদ্দ ছিল ৪০ কেজি করে দুই ডেক খিচুড়ি-গরুর মাংস।

 

প্রতিযোগিতায় প্রায় এক ঘণ্টার মধ্যে ভাতিজা দলের ২০ জন মিলে ৩৮ কেজি খিচুড়ি-মাংস খেয়ে বিজয়ী হন। তবে চাচারাও এ দৌড়ে পিছিয়ে ছিলেন না। একই সময়ের মধ্যে তাঁরা খেয়েছেন ৩২ কেজি খিচুড়ি-মাংস।

ব্যতিক্রমী এই আয়োজনের উদ্যোক্তাদের মধ্যে অন্যতম টুনু শরীফ। তিনি প্রতিযোগিতায় চাচা দলের নেতৃত্ব দেন। আর ভাতিজা দলের নেতৃত্ব দেন একই এলাকার সাইফুল ইসলাম। টুনু শরীফ প্রথম আলোকে বলেন, এখানে হারজিত মূল বিষয় নয়। করোনাকালে সবকিছুই প্রাণহীন হয়ে গেছে। তাই এ রকম সময়ে সবার মধ্যে আনন্দ ছড়িয়ে দিতে ব্যতিক্রমী এই আয়োজন করা হয়েছে।

বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন বলেন, ‘আমরা আগে এমন ভোজনরসিকদের গল্প শুনতাম। কিন্তু এবার সেটা নিজের চোখে দেখলাম। এই উদ্যোগের সঙ্গে থাকতে পেরে খুব ভালো লেগেছে।’

ব্যতিক্রমী এই আয়োজন দেখতে নগরের বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা সেখানে ভিড় জমান। তাঁরাও এই ভোজনে আপ্যায়িত হয়েছেন। রাত ১১টায় প্রতিযোগিতা শেষে ভাতিজাদের চ্যাম্পিয়ন ক্রেস্ট ও চাচা দলের হাতে রানার্সআপ ক্রেস্ট তুলে দেওয়া হয়। পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বরিশাল পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) পুলিশ সুপার আতিকুর রহমান, বরিশাল প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন, বরিশাল সিটি করপোরেশনের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সৈয়দ হাবিবুর রহমান ও ব্যবসায়ী বিষু ঘোষ।

এমজে/