বাংলাদেশসহ ৯ দেশের গুম খতিয়ে দেখেছে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ

বাংলাদেশসহ ৯ দেশের গুম খতিয়ে দেখেছে জাতিসংঘের ওয়ার্কিং গ্রুপ

জোরপূর্বক গুম নিয়ে সরব জাতিসংঘের জোরপূর্বক গুম অথবা অনিচ্ছায় আত্মগোপনে থাকা বিষয়ক ওয়ার্কিং গ্রুপ। বাংলাদেশসহ ৯টি দেশের ১৭টি জোরপূর্বক গুমের ঘটনা খতিয়ে দেখেছে ওয়ার্কিং গ্রুপ। একই সঙ্গে বাংলাদেশসহ ২৩টি দেশের ৭২৭ টি গুমের বিষয় পর্যালোচনা করেছে।

তাৎক্ষণিক হস্তক্ষেপের চিঠি, সাধারণ অভিযোগ এবং জরুরি আবেদনে বিভিন্ন দেশের সরকার কি প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে, তা পর্যালোচনা করেছে ওয়ার্কিং গ্রুপ। এতে নতুন করে সাধারণ অভিযোগগুলো গৃহীত হয়েছে এবং বিভিন্ন প্রকল্পের অগ্রগতি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এ বছর সাইপ্রাস ও কেনিয়াতে সম্ভাব্য সফর নিয়েও আলোচনা করা হয়েছে। মানবিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে, বিরাষ্ট্রী গোষ্ঠীর দ্বারা সংঘটিত জোরপূর্বক গুমের বিষয়ে ডকুমেন্ট এবং আলোচনা অব্যাহত রেখেছে ওয়ার্কিং গ্রুপ।

৭ই ফেব্রুয়ারি থেকে ১১ই ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় জাতিসংঘের এই ওয়ার্কিং গ্রুপের ১২৬তম অধিবেশনে এ শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। এ সময়ে ২০২১ সালের ২৯ শে সেপ্টেম্বরের পরে জরুরি পদক্ষেপের অধীনে ১৭টি জোরপূর্বক গুম খতিয়ে দেখা হয়।

এসব দেশের মধ্যে আছে বাংলাদেশ, আজারবাইজান, মিশর, কেনিয়া, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, রাশিয়া ও সৌদি আরব। জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনারের ওয়েবসাইটে দেয়া এক বিবৃতিতে একথা বলা হয়েছে। এতে বলা হয়, এর আগে বাংলাদেশ, আলজেরিয়া, আর্মেনিয়া, আজারবাইজান, চীন, কলম্বিয়া, কোরিয়া, ইকুয়েডর, মিশর, এল সালভাদর, ইন্দোনেশিয়া, ইরান, লাতভিয়া, লেবানন, লিবিয়া, পাকিস্তান, রোয়ান্ডা, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, সিরিয়া, তুরস্ক, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ভেনিজুয়েলার ৭২৭টি গুমের ঘটনা পর্যালোচনা করা হয়।

এতে বলা হয়েছে, জোরপূর্বক গুমের শিকার ব্যক্তিদের আত্মীয়-স্বজন, বেসরকারি সংগঠন, রাষ্ট্রীয় প্রতিনিধি ও অংশীদারদের সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন বিশেষজ্ঞরা। ওয়াকিং গ্রুপের ১২৭তম অধিবেশন বসার কথা রয়েছে ৯ থেকে ১৩ই মে।