সাভারে টিকা নিতে মানুষের ঢল

সাভারে টিকা নিতে মানুষের ঢল

করোনা টিকার প্রথম ডোজ বন্ধের সময়সীমা ঘোষণার পর টিকা নিতে মরিয়া সাভার ও আশুলিয়ার সাধারণ মানুষসহ পোশাক শ্রমিকরা। এতে সাভারের প্রধান টিকাকেন্দ্রে মানুষের ঢল নেমেছে। ফলে এখানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা দূরে থাক, সুস্থভাবে বেঁচে ফেরাও মুশকিল হয়ে পরেছে।

বুধবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব হেলথ ম্যানেজমেন্ট (বিআইএইচএম) কেন্দ্রে টিকা নিতে আসা মানুষের ভিড়ে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। গাদাগাদি করে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দাঁড়িয়ে আছেন হাজার হাজার মানুষ।

এর আগে মঙ্গলবার (২২ ফেব্রুয়ারি) ধাক্কাধাক্কিতে পড়ে গিয়ে তিন স্বাস্থ্যকর্মীসহ পুলিশের লাঠিপেটায় অন্তত ছয়জন আহত হন। আজও সেই একই অবস্থার দিকে যাচ্ছে পরিস্থিতি। এখন পর্যন্ত কোনো আহত বা অসুস্থের খবর না পাওয়া গেলেও পরিস্থিতি অস্বাভাবিক রয়েছে।

সরেজমিনে বেলা ১১টার দিকে বিআইএইচএম কেন্দ্রে গিয়ে দেখা যায়, টিকা নিতে কয়েক হাজার মানুষ উপস্থিত হয়েছেন। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের পক্ষ থেকে নারী-পুরুষের আলাদা সারি তৈরির জন্য ও টিকা নিয়ে বের হওয়ার জন্য বাঁশ দিয়ে আলাদা রাস্তা করা হয়েছে। সকালের পর কিছু সময় পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ধীরে ধীরে মানুষের উপস্থিতি বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বিশৃঙ্খলা শুরু হয়। এ সময় টিকা নিতে আসা অনেকেই বের হওয়ার রাস্তাটিতে অবস্থান নেন। এর মধ্য দিয়েই শুরু হয় বিশৃঙ্খলা।

এছাড়া সারিবদ্ধভাবে উপস্থিত টিকাপ্রত্যাশীরা দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর জোর করে টিকাকেন্দ্রে প্রবেশ করতে চাইলে শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত পুলিশ সদস্যরা বাধা দিয়ে দিয়ে আটকিয়ে রাখছে। ভিড়ের কারণে অনেকেই টিকা নিতে পারেননি বলে জানা গেছে।

সাভারের চাপাইন এলাকার খোরশেদ বলেন, মঙ্গলবার এসে ভিড় দেখে ফিরে গিয়েছিলাম। আজ (বুধবার) আবার এসে অনেক কষ্টে টিকা নিয়েছি। আমার মতো অনেকেই ফিরে গেছেন টিকা না নিয়ে। আর যে ভীড়-গাদাগাদি একটু বৃদ্ধ মানুষতো এমনিতেই মরে যাবে।

সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা সায়েমুল হুদা বলেন, এখানে প্রতিদিন ৯০০ জনকে টিকা দেওয়ার কথা। কিন্তু আমরা ১৮ হাজারের বেশি টিকা দিয়েছি। যেন সবাইকে টিকা দিয়ে শেষ করতে পারি। মঙ্গলবার মানুষের সমাগম অনেক বেশি ছিল। আমাদের নিরাপত্তা কর্মীসহ স্বাস্থ্যকর্মীরা অনেক কষ্ট করেছেন। আজও সেই একই অবস্থা।

তিনি আরও বলেন, আমরা আমিনবাজার, বিভিন্ন স্কুল, ইপিজেডসহ কিছু কারখানা ও অন্যান্য জায়গায় টিকাদান কর্মসূচি চালাচ্ছি। টিকাকেন্দ্রের পরিস্থিতি ঠিক রাখতে বুধবার থেকে পর্যাপ্ত পুলিশ মোতায়েন রাখা হয়েছে। সারিবদ্ধভাবে যাতে সবাই টিকা নিতে পারে, তা নিশ্চিত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।

এমজে/