ভোজ্যতেল-চিনি-ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার

ভোজ্যতেল-চিনি-ছোলায় ভ্যাট প্রত্যাহার

পবিত্র রমজান মাসে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম সহনীয় মাত্রায় রাখতে আমদানিকৃত ভোজ্যতেল, চিনি ও ছোলার ওপর ভ্যাট প্রত্যাহার করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

বৃহস্পতিবার সচিবালয়ের ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ তথ্য জানান তিনি। ভার্চ্যুালি বৈঠকে অংশ নেন মন্ত্রী।

আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ পরিস্থিতির কারণে পণ্যমূল্য বেড়েছে। এজন্য মানুষও কষ্ট পাচ্ছে। ভোগ্যপণ্যের দাম সহনীয় রাখতে যেসব পণ্যের ওপর ভ্যাট ছিল তা তুলে নেয়া হচ্ছে। জনগণকে স্বস্তি দিতেই সরকারের এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’

এদিকে সভায় টিসিবির জন্য বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে মোট ৬৯১ কোটি টাকার চিনি, সয়াবিন তেল, ছোলা ও মসুর ডাল কেনার অনুমোদন দেয়া হয়, যা এক কোটি পরিবারের কাছে স্বল্পমূল্যে তুলে দেবে সংস্থাটি।

ভোজ্যতেলের বাজার সামলাতে ভ্যাট তুলে নেয়ার ইঙ্গিত দেয় জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
ব্যবসায়ীদের দাবির মুখে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় ভোজ্যতেলের ওপর ১৫ শতাংশ ভ্যাট প্রত্যাহার করতে চিঠি দিয়েছিল এনবিআরকে।

ওই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতেই বুধবার (৯ মার্চ) নিত্যপণ্যটির ওপর থেকে ভ্যাট প্রত্যাহার নিয়ে ‘কাজ চলছে’ জানিয়ে এনবিআর সদস্য (ভ্যাট নীতি) জাকিয়া সুলতানা বলেন, ‘সম্প্রতি বাণিজ্য মন্ত্রণালয় আমাদের কাছে ভোজ্যতেলের চলমান পরিস্থিতিতে ভ্যাট প্রত্যাহারের অনুরোধ জানিয়ে চিঠি দিয়েছে। আমরা এখন বিষয়টি নিয়ে কাজ করছি।’

এর আগে সোমবার (৭ মার্চ) বাংলাদেশ শিল্প ও বণিক সমিতির (এফবিসিসিআই) সভাপতি জসিম উদ্দিন তিন মাসের জন্য ভোজ্যতেলে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি জানান। সেই সঙ্গে সরকারের হিসাব রাখতে বন্ডের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানগুলোকে তেল দেয়ার পরামর্শ দেন তিনি।

ভোজ্যতেলের দাম নিয়ন্ত্রণে প্রতিবেশী দেশ ভারত তিনবার শুল্ক ও ভ্যাট সমন্বয় করেছে। বাংলাদেশেও ভ্যাট প্রত্যাহার করা উচিত বলে মনে করেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

ভোজ্যতেলের দাম দিন দিন বেড়েই চলেছে। অভিযান চালিয়েও নিয়ন্ত্রণে আনা যাচ্ছে না বাজার। সরকার-নির্ধারিত দর খোলা তেল ১৪৩ আর বোতলজাত ১৬৮ টাকা কোনো কাজেই আসছে না বাস্তবে। বাজারে তেলের দাম ছুঁয়েছে ১৮০ টাকা।