দুই লাখ বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা মালশিয়ায়

দুই লাখ বাংলাদেশী কর্মীর চাহিদা মালশিয়ায়

মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি কর্মীর চাহিদা বেড়েই চলেছে। নিয়োগকর্তাদের কাছ থেকে দুই লাখ আবেদন পেয়েছে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রণালয়। শুধুমাত্র বাংলাদেশি শ্রমিক নিয়োগ করার জন্য নিয়োগকর্তাদের এই আবেদন অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে বেশি।

বৃহস্পতিবার (১০ মার্চ) এইচআরডি করপোরেশন ওপেন ডে চালু করার পরে একটি সংবাদ সম্মেলনে দেশটির মানবসম্পদ মন্ত্রী দাতুক সেরি এম সারাভানান এ তথ্য জানিয়েছেন।

মালয়েশীয় মানবসম্পদ মন্ত্রী জানিয়েছেন, বিষয়টি খতিয়ে দেখে সব সেক্টরে নিয়োগের জন্য শ্রমিকদের অনুমতি দেয়া হবে।

সারাভানান বলেন, ‘বিদেশী কর্মীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণ কোর্স বাধ্যতামূলক করা হবে যেন মালয়েশিয়ায় থাকাকালীন সময়ে তাদের অধিকার সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি হয়।’

বাংলাদেশের জন্য সুখবর হলো - এখানে দিন দিন বাংলাদেশি শ্রমিকের চাহিদা বেড়েই চলেছে। তবে দেশটিতে সবচেয়ে বেশি শ্রমিক রয়েছে ইন্দোনেশিয়ার। সরকার ইন্দোনেশিয়া থেকেও শ্রমিক আমদানির কথা ভাবছে যদিও এখনো এমওইউ চুক্তি স্বাক্ষর হয়নি। এদিকে বাংলাদেশের সাথে মালয়েশিয়া যাবতীয় প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলেও সিন্ডিকেট জটিলতার কারণে শ্রমিক নিয়োগ ঝুলে আছে।

এ ছাড়া বিদেশী কর্মীদের আনার জন্য কোনো এজেন্ট ব্যবহার করা হবে না, কারণ নিয়োগকর্তাদের এজেন্টদের দ্বারা অপব্যবহারের সমস্যা দূর করতে সরাসরি কর্মী নিয়োগ দিতে হবে। বিদেশী কর্মীদের আনার জন্য মন্ত্রীদের আর কোনো বিশেষ অনুমোদনের প্রয়োজন হবে না এবং ই-মজুরি (ইলেকট্রনিক বেতন) ব্যবস্থা কার্যকর করা হবে যাতে বিদেশী কর্মীদের প্রতি মাসের ৭ তারিখের মধ্যে বেতন পরিশোধের ব্যবস্থা থাকবে।