ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি কমিটি স্থগিত করেছে একাংশ

ধর্ষণের ঘটনায় ছাত্র ইউনিয়নের ঢাবি কমিটি স্থগিত করেছে একাংশ

সংগঠনের এক নেতার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে যথাযথ পদক্ষেপ নিতে ‘ব্যর্থতা, অপরিণামদর্শিতা ও ভুক্তভোগীর প্রতি অপরাধের’ অভিযোগ তুলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের নতুন কমিটির কার্যক্রম স্থগিত করেছে সংগঠনটির কেন্দ্রীয় কমিটির একাংশ। ওই নেতাকে ‘ধর্ষক’ আখ্যা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কারেরও দাবি জানিয়েছে তারা।

আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই দাবি জানায় ফয়েজ উল্লাহ ও দীপক শীলের নেতৃত্বাধীন ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় কমিটি। তবে সংগঠনের অপর অংশের নেতারা বলছেন, কমিটি স্থগিতের কোনো এখতিয়ার ফয়েজ ও দীপকদের নেই। তাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়নের কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের সিদ্ধান্ত তাঁরা মানছেন না।

সদ্য গঠিত ছাত্র ইউনিয়নের বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নতুন কমিটি ফয়েজ-দীপকদের বিরোধী অংশের নিয়ন্ত্রণে। গত রোববার বিশ্ববিদ্যালয় শাখার নেতা আকিফ আহমেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ করেন সংগঠনের এক নারী কর্মী। ওই ঘটনায় আকিফ অভিযোগের বিষয়ে স্বীকারোক্তিমূলক পদত্যাগপত্র দিলে পরের দিন তাঁকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করা হয়। একই সঙ্গে অভিযোগকারী ভবিষ্যতে আইনি পদক্ষেপ নিতে চাইলে সর্বোচ্চ সহযোগিতার প্রতিশ্রুতি দেয় বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্র ইউনিয়ন। তবে এ ক্ষেত্রে সংগঠনের প্যাডে কোনো বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়নি। বিষয়টি ‘বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ’ নামের একটি ফেসবুক পেজে পোস্টের মাধ্যমে জানানো হয়।

জানতে চাইলে ছাত্র ইউনিয়নের কেন্দ্রীয় সভাপতি ফয়েজ উল্লাহ প্রথম আলোকে বলেন, ‘ধর্ষণে অভিযুক্তকে বিশ্ববিদ্যালয় কমিটি বহিষ্কার করেছে। এটি বহাল থাকবে। একই সঙ্গে এখানে ভিকটিম ব্লেমিংয়ের মতো ঘটনা ঘটেছে। তাঁর পরিচয় প্রকাশ করা হয়েছে। এটি অনেক বড় অপরাধ। এটি ছাত্র ইউনিয়নের নীতি-নৈতিকতাবিরোধী। এ ধরনের কার্যক্রমে যুক্ত হলে ছাত্র ইউনিয়নের যেকোনো কর্মী সাংগঠনিক নৈতিকতা হারান।’

তবে কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের অন্য অংশের সাধারণ সম্পাদক রাগীব নাঈম বলেন, ‘ফয়েজ উল্লাহ-দীপক শীল নেতৃত্বাধীন কমিটির সিদ্ধান্ত তাঁরা মানেন না। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা কমিটির কার্যক্রম স্থগিতের ওই সিদ্ধান্তের ফলে ছাত্র ইউনিয়নের ঐক্য পুনরুদ্ধারের যে প্রক্রিয়া চলছে, তা বাধাগ্রস্ত হবে।’