আমির হামজার পদক বাতিল করায় ব্যথিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা

আমির হামজার পদক বাতিল করায় ব্যথিত স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধারা

মাগুরার চারণ কবি আমির হামজার নামে সাহিত্যে স্বাধীনতা পদক ঘোষণার পর তা আবার বাতিল করায় তার পরিবার ও এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন। পরিবারের পক্ষ থেকে এটা অপমানজন ও আত্মহত্যার সামিল বলে উল্লেখ্য করা হচ্ছে। অন্যদিকে এলাবাসী ও মুক্তিযোদ্ধারা বলছে তারা আমির হামজার পদক বাতিল হওয়ায় ব্যথিত হয়েছেন।

মাগুরা শ্রীপুর উপজেলার বরিষাট গ্রামের কবি ও মুক্তিযোদ্ধা আমির হামজা। প্রয়াত আমির হামজা এলাকার মানুষের কাছে চারণ কবি হিসেবে পরিচিত। তিনি কবিতা, গান ও সাহিত্য রচনায় সমান পারদর্শী ছিলেন। বিশেষ করে বিভিন্ন আসরে বসেই গান রচনা ও সুরারোপ করে তা তিনি তাৎক্ষণিকভাবে পরিবেশন করতেন। বাঘের থাবা, একটি মুজিব তুমি, একুশের পাচালীসহ তার প্রকাশিত একাধিক কাব্যগ্রস্থ রয়েছে। তিনি শুধু কবি হিসেবে নয় বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছেন। যুদ্ধক্ষেত্রে তিনি সাহিত্যকর্ম দিয়ে সহযোদ্ধাদের সাহস যুগিয়েছেন। নানা প্রতীভার পাশাপাশি লেখালেখির জন্য এ বছর গত ১৫ মার্চ সরকারিভাবে প্রয়াত আমির হামজার নামে স্বাধীনতা পুরুস্কার ঘোষণা করা হয়। কিন্তু বিভিন্ন মহলের সমালোচনার মুখে তিনদিন পরে সরকার আমির হামজার এই পদক বাতিল ঘোষণা করে।

এরপর থেকে তার পরিবারের সদস্য বিশেষ করে সন্তানেরা এটিকে একটি মহলের ষড়যন্ত্র বলে আখ্যায়িত করেছেন। একই সাথে সরকারের প্রতি তার এই পদক বহাল রাখার দাবী জানিয়েছেন। পদক ঘোষণার পরে তা বাতিল করায় বিষয়টি তাদের পরিবারের কাছে মৃত্যুর সামিল মনে হচ্ছে।

এলাকাবাসী ও প্রয়াত আমির হামজার সহযোদ্ধারা বলছেন, আমির হামজার পদক সাহিত্য স্বাধীনতা পদক পাওয়াতে তারা এলাকাবাসী হিসেবে সন্মানীত বোধ করছিলেন। এখন তা ফিরিয়ে নেওয়াতে ব্যথিত হয়েছে। কর্তৃপক্ষের উচিৎ কোনো পদক ঘোষণার আগেই ভালভাবে যাচাই বাছাই করা।

স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বলছেন, আমির হামজা মুক্তিযুদ্ধের সময় কবিতা, গান লিখে তাদের সাহস যুগিয়েছেন। স্বাধীনতার পরেও তিনি সাহিত্য কর্ম চালিয়ে গেছেন। তিনি স্বাধীনতা পদক পাওয়াতে আমরা আনন্দিত হয়েছিলাম। কিন্ত পদক থেকে নাম বাদ পড়ায় শ্রীপুর উপজেলার বীর মুক্তিযোদ্ধা চরমভাবে ব্যথিত হয়েছেন।