মুন্সিগঞ্জে আশঙ্কাজনক হারে বেড়েছে মশার উপদ্রব। কয়েল কিংবা স্প্রে করেও বাঁচা যায় না কামড় থেকে। তাই দিনেও মশারি ছাড়া গতি নেই।
এই যেমন, মুন্সিগঞ্জ পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের শিক্ষার্থী আসাদ ও জাহিদ। পড়াশোনার জন্য থাকছেন মেসে। দুজনেই বেশ কয়েকদিন ভুগেছেন চিকুনগুনিয়ায়। মশার ভয়ে তাই দিনেও টাঙিয়ে রেখেছেন মশারি।
মুন্সিগঞ্জ জেলাজুড়ে যেখানে সেখানে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে আবর্জনা। ময়লার ড্রেন আর জলাশয়ে জমাট বাঁধা পানিতে তৈরি হচ্ছে মশার লার্ভা। জনসাধারণের অভিযোগ, মশা নিধনে দায়সারা কাজ করে পৌর কর্তৃপক্ষ। যা কোনো কাজেই লাগে না। বলেন, আমরা শুধু শুধুই পৌরসভাকে ট্যাক্স দেই।
হাসপাতালগুলোতেও আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে ডেঙ্গু, ম্যালেরিয়ার মতো মশাবাহিত রোগে আক্রান্তের সংখ্যা। তিলধারণের ঠাঁই নেই জেলা সদর হাসপাতালে।
সিভিল সার্জন ডা. মো. মঞ্জুরুল আলম বলেন, মশাবাহিত এইসব রোগ থেকে মুক্তির জন্য মশানিধন অবিলম্বে জরুরি।
যদিও পৌর মেয়ের মো. ফয়সাল বিপ্লবের দাবি, মশার বংশ বিস্তার রোধে তৎপর তারা। বলেন, মশা নিধনের জন্যে ওষুধ দিয়ে যাচ্ছি। আশেপাশের ঝোপঝাড় পরিষ্কার করছি। মানুষ যদি ব্যক্তিগত উদ্যোগে তার আশপাশ পরিষ্কার না করে তবে শুধু আমাদের পক্ষে এই মশকনিধন সম্ভব না।
জেলা স্বাস্থ্যবিভাগের তথ্য মতে, প্রতিদিন গড়ে অন্তত ৩০ জন মশাবাহিত বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন।