মাইশার মৃত্যুতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

মাইশার মৃত্যুতে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ

সড়ক দুর্ঘটনায় নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা মমতাজের মৃত্যুকে হত্যা দাবি করে বিক্ষোভ করেছে প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার সকালে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ শুরু করেন শিক্ষার্থীরা। পরে তাঁরা মিছিল নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ফটক পর্যন্ত যান। তবে তাঁদের মূল সড়কে যেতে দেয়নি পুলিশ।

শিক্ষার্থীরা বলেন, মাইশা হত্যায় জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত বিচার দাবি করা হয়েছে। এ ছাড়া মাইশার পরিবারকে এক কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ারও দাবি করা হয়েছে। এই দুটি দাবির পাশাপাশি সড়ক নিরাপদ করতে আরও ছয়টি দাবির কথা তারা তুলে ধরছেন।

দাবি পূরণে ২৪ ঘণ্টা সময় বেঁধে দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এই সময়ের মধ্য দাবি পূরণ না হলে কাল রোববার বেলা দুইটার পর আবার আন্দোলন শুরু করার কথা বলেছেন শিক্ষার্থীরা।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পক্ষে দাবিগুলো তুলে ধরেন কাউছার হাবীব নামের এক শিক্ষার্থী। তিনি বলেন, ৮ দফা দাবিতে বেলা ১১টায় ক্যাম্পাসে জড়ো হন শিক্ষার্থীরা। সেখান থেকে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করা হয়। পরে বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার প্রগতি সরণির গেটে গিয়ে বিক্ষোভ মিছিলটি শেষ হয়।

শিক্ষার্থীদের অন্য দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে আইন সংশোধন করে সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডের বিধান নিশ্চিত করতে হবে। বেপরোয়া ওভারটেক প্রতিরোধে রাস্তার সব জায়গায় সিসি ক্যামেরা লাগাতে হবে। হাফ পাসের বিষয়ে সব বাধ্যবাধকতা তুলে দিতে হবে। শিক্ষার্থীদের জন্য আলাদা গণপরিবহন দিতে হবে। নারীদের জন্য আলাদা বাস দিতে হবে। প্রস্তাবিত বাস রুট র‌্যাশনালাইজেশন দ্রুত বাস্তবায়ন করতে হবে।

রাজধানীর খিলক্ষেতে উড়ালসড়কে গতকাল শুক্রবার সকাল সাড়ে সাতটার দিকে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হন নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী মাইশা। তিনি ইংরেজি বিভাগের ষষ্ঠ সেমিস্টারের শিক্ষার্থী ছিলেন। ছুটির দিনে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে উত্তরার বাসা থেকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। খিলক্ষেত উড়ালসড়ক দিয়ে ৩০০ ফুট যাওয়ার পথের ঢালে তিনি দুর্ঘটনার শিকার হন। দুর্ঘটনায় দায়ী কাভার্ড ভ্যান চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

পুলিশের ক্যান্টনমেন্ট জোনের অতিরিক্ত উপকমিশনার ইফতেখায়রুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, শুক্রবার রাতে চট্টগ্রাম থেকে গাড়ির চালক সাইফুল ইসলাম (৪৪) ও তাঁর সঙ্গে থাকা মশিউরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সাইফুলের হালকা যান চালানোর লাইসেন্স ছিল। কিন্তু তিনি চালাচ্ছিলেন ভারী গাড়ি। মশিউর হলেন গাড়িতে থাকা মালামালের মালিকপক্ষের প্রতিনিধি।