গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে সাংবাদিক সমাজ সংকটে পড়বে: বিএফইউজে

গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে সাংবাদিক সমাজ সংকটে পড়বে: বিএফইউজে

সাংবাদিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করে গণমাধ্যমকর্মী (চাকরি শর্তাবলী) আইন ২০২২ পাসের দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন (বিএফইউজে)। তারা মনে করেন, সংসদে উপস্থাপিত গণমাধ্যমকর্মী আইন পাস হলে দেশে কর্মরত সাংবাদিক সমাজ গভীর সংকট ও অনিশ্চয়তায় পড়বে।

গত শুক্রবার অনুষ্ঠিত বিএফইউজের নির্বাহী পরিষদের পূর্ণাঙ্গ সভায় নেতৃবৃন্দ বলেন, এই আইনে সাংবাদিকদের বিদ্যমান অধিকাংশ সুযোগ-সুবিধা কর্তন করে অর্ধেকের নিচে নামিয়ে আনার প্রস্তাব করা হয়েছে। ২০১৮ সালের আইনটির চেয়ে সংসদে যে আইনটি উত্থাপন করা হয়েছে সেটি সাংবাদিকদের অধিকার, মর্যাদা এবং নানা বিষয়ে আপত্তি আছে।

নেতৃবৃন্দ বলেন, ১৯৬১ সাল থেকে শুরু করে এখনও পর্যন্ত বহাল সুযোগ-সুবিধা দেশের বর্তমান অর্থনৈতিক উন্নয়নের প্রেক্ষাপটে দ্বিগুণ হওয়ার কথা। কিন্তু একটি সুগভীর ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সাংবাদিক সমাজে অস্থিরতা সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি অগ্রহণযোগ্য আইন নেতৃবৃন্দের বাধা বিপত্তি সত্ত্বেও সংসদে উপস্থাপিত হয়েছে। তাই বিএফইউজের সভায় সাংবাদিক সমাজের সঙ্গে সাংবাদিকদের প্রতিনিধিত্বকারী ইউনিয়নগুলোর সঙ্গে, শ্রমিক, কর্মচারীদের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে সংশোধন করে আইনটি সংসদে পাস করার ব্যাপারে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী এবং সংসদীয় কমিটির কাছে আহ্বান জানানো হয়।

বিএফইউজে সভাপতি ওমর ফারুকের সভাপতিত্বে ও মহাসচিব দীপ আজাদের পরিচালনায় অনুষ্ঠিত পূর্ণাঙ্গ সভায় নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মনজুরুল আহসান বুলবুল, মধুসূদন মণ্ডল, খায়রুজ্জামান কামাল, সেবীকা রানী, আঙ্গুর নাহার মন্টি, আব্দুস সালাম, আমির হোসাইন স্মিথ, আতাউল করিম খোকন, মীর গোলাম মোস্তফা, মোহাম্মদ আলী, ম. শামসুল ইসলাম, আবু তাহের, জাহেদ সরওয়ার সোহেল, রফিকুল ইসলাম, তানজিমুল হক, জে. এম. রউফ, আফরোজা আক্তার ডিউ, এইচ আর তুহিন, মো. ওয়াহেদুল আলম আর্টিস্ট, রাশেদ রিপন, হেদায়েত হোসেন মোল্লা প্রমুখ।