মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নাকচ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট নাকচ পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর

নিরাপত্তা বাহিনীর ক্ষমতার অপব্যবহার ও দুর্নীতিতে সরকারের দায়মুক্তি দেয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে মার্কিন মানবাধিকার রিপোর্ট-২০২১ এ তা নাকচ করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। ৭৪ পৃষ্টার রিপোর্টটি পর্যালোচনা করছেন জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত যা দেখেছেন তাতে মনে হয়েছে, রোহিঙ্গা ইস্যুটিও ভুলভাবে মার্কিন রিপোর্টে তুলে ধরা হয়েছে।

বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এলজিবিটিদের জন্য বাংলাদেশে আইন নেই এবং বাংলাদেশ তাদের প্রয়োজন মেটাতে পারছেনা- প্রতিবেদনের এই অংশের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, এটা আমাদের ইসলাম ধর্মের পরিপন্থী। পৃথিবীর এমন একটা মুসলিম দেশ দেখান যারা এলজিবিটিকে অনুমোদন দেয়। যত দেশ বা সংস্থা থেকে চাপ আসুক না কেন এলজিবিটি প্রশ্নে কোন ছাড় দেবে না বাংলাদেশ। এটা বাংলাদেশের মানুষের সঙ্গে বিরোধীতা করা হবে, ধর্মের সঙ্গে বিরোধীতা করা হবে।

প্রতিমন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মামলার ইতিহাসও এখানে নিয়ে আসা হয়েছে।

তাকে রাজনৈতিক রাজনৈতিক বন্দি বলা হয়েছে। তিনি তো রাজনৈতিক বন্দী নন। আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে যতবার এ নিয়ে কথা বলেছি, সেখানে আমরা সকল প্রশ্নের উত্তর দিয়েছি। তাকে মানবিক কারণে জেল থেকে মুক্তি দিয়ে বাসায় থাকতে দেয়া হয়েছে। তার বিদেশে যাওয়ার প্রশ্নটাও অমূলক ছিল। রোহিঙ্গাদের বিষয়েও ভুল তথ্য দেয়া হয়েছে দাবি করে তিনি বলেন, ১০/১২ জন রোহিঙ্গা ভাসানচর থেকে পালানোর সময় নৌকা ডুবি হয়ে তাদের মৃত্যু হয়েছে। এটাও কী আমাদের দোষ? আমাদের ঘাড়ে এ দোষ চাপানো হয়েছে।