গুম হওয়া ছাত্রদল নেতার স্ত্রী বললেন

ছেলে বড় হয়ে গেল, স্বামী কবে ফিরে আসবে?

ছেলে বড় হয়ে গেল, স্বামী কবে ফিরে আসবে?

‘তখন আমার ছেলেটার পাঁচ বছর ছিল। সে বড় হয়ে গেল। ওর বাবার কথা জিজ্ঞাসা করলে কিছু বলতে পারি না। শুধু সান্ত্বনা দিয়ে যাই, “তোমার বাবা ফিরে আসবে।” ৯ বছর পর আজও আমি বলতে পারি না, কবে ওর বাবা ফিরে আসবে।’

গুম-খুন হওয়া নেতা–কর্মীদের স্বজনদের নিয়ে আয়োজিত আলোচনা সভা, দোয়া ও ইফতার মাহফিলের অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শাম্মী সুলতানা। অনুষ্ঠানটি আয়োজন করেছে আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি সংসদ।

ছেলে সাদমান শিহাব, শাশুড়ি হোসনে আরাসহ অনুষ্ঠানে আসেন শাম্মী। শাম্মী বলেন, ‘আপনাদের কাছে এতটুকু অনুরোধ, আপনারা সবাই সোচ্চার হবেন। সরকার ওদের যেখানে রেখেছে, যেন ফিরিয়ে দেয়।’

শাম্মী সুলতানা রাজধানীর সূত্রাপুর থানার ৭৯ নম্বর ওয়ার্ড (বর্তমান ৪৩) ছাত্রদলের সভাপতি খালিদ হাসান ওরফে সোহেলের স্ত্রী। শাম্মী জানান, তাঁর স্বামী ২০১৩ সালের ২৮ নভেম্বর কেন্দ্রীয় কারাগারের ফটক থেকে নিখোঁজ হন। তখন গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে তাঁর স্বামীকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল বলে শাম্মী সুলতানা অভিযোগ করেন।

অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সভাপতি সেলিম রেজার ভাই ইসলাম রেজা, সূত্রাপুর থানা ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক সম্রাট মোল্লার বোন কানিজ ফাতেমা ও ভাই আতিকুল ইসলাম। সেলিম রেজার পরিবাবের অভিযোগ, ২০১৩ সালের ১১ ডিসেম্বর গুম হন সেলিম। আর সম্রাট মোল্লার পরিবার জানায়, সম্রাট একই বছরের ২৮ নভেম্বর গুম হন।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আবদুল মঈন খান। তিনি বলেন, দেশে রাজনীতি করতে গিয়ে অনেক মানুষ প্রতিহিংসার শিকার হয়ে পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছেন অথবা গুম হয়েছেন। ইলিয়াস আলীসহ কারও ভাই, কারও স্বামী গুম হয়েছেন উল্লেখ করে আবদুল মঈন খান বলেন, ছোট্ট বাচ্চার মা কথা বলেছেন মাইকে। সেই মাসুম বাচ্চাটির কী অপরাধ, সে তার বাবাকে কেন দেখতে পায় না, এ প্রশ্নের উত্তর সরকারকে দিতে হবে।