কালকিনিতে এমপিকে শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

কালকিনিতে এমপিকে শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে সংঘর্ষ, আহত ১০

মাদারীপুরের কালকিনিতে স্থানীয় সাংসদ ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক ড. আব্দুস সোবহান গোলাপের উপস্থিতিতেই ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠানে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছে ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে কালকিনি উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে। রোববার সন্ধ্যায় কালকিনি উপজেলা সার্কিট হাউজে ইফতার অনুষ্ঠানে এ ঘটনা ঘটে। এসময় একাধিক বোমা বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটে বলে জানা গেছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, কালকিনি পৌর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে ইফতার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার ৫ শতাধিক মানুষ এতে অংশগ্রহণ করেন। এসময় স্থানীয় এমপিকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো নিয়ে কালকিনি উপজেলা ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে’র সভাপতি মুরাদ হোসেনের সাথে ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চ’ কালকিনি সৈয়দ আবুল হোসেন কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাদিমের কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায় দুপক্ষের হাতাহাতি শুরু হয়।

এসময় উভয় পক্ষের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এতে ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চে’র কলেজ শাখার সিনিয়র সহসভাপতি এস এম নাদিম আহত হন। এসময় উভয় পক্ষ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার করে। উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়লে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

কালকিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহিন ফকির বলেন, ‘মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের নতুন একটি কমিটি হয়েছে তারা এই ঘটনা ঘটিয়েছে। এখানে ছাত্রলীগের কোনো সম্পৃক্ততা নেই। মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের কলেজ শাখা ও উপজেলা শাখার নেতারা দ্বন্দ্ব করেছে। ’

পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট আবুল বাসার বলেন, ‘ইফতার অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধা মঞ্চের উপজেলা শাখা থেকে এমপি মহোদয়কে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানোর প্রস্তুতি নেয়। কিন্তু অপর পক্ষ কলেজ শাখার নেতাদের বিষয়টি জানায়নি। এটা নিয়ে দুপক্ষ ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া করেছে। ’

কালকিনি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইশতিয়াক আশফাক রাসেল বলেন, ‘ঘটনার পরই অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। উত্তেজনা বিরাজ করায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক।