১২ বছরেও শেষ হয়নি প্রকল্প, ঈদযাত্রা হবে ভোগান্তির

১২ বছরেও শেষ হয়নি প্রকল্প, ঈদযাত্রা হবে ভোগান্তির

চার বছরের প্রকল্প শেষ হয়নি ১২ বছরেও। দফায় দফায় বেড়েছে সময়। খরচ বেড়েছে দ্বিগুণ। তবু নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারার আশঙ্কা করছেন র‌্যাপিড ট্রানজিট (বিআরটি) প্রকল্পের পরিচালক। বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর চৌরাস্তা পর্যন্ত সড়কের কাজ শেষ করতে আরও কত সময় লাগবে তাও নিশ্চিত করতে পারছেন না তিনি।

এ অবস্থায় বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত যানজট লেগেছে থাকছে। এর মধ্যে টঙ্গী থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়কের যানজট অসহনীয়। কোথাও একমুখী যানবাহন চলাচল করছে, কোথাও সড়ক বন্ধ করে রাস্তার কাজ চলছে। হাজার হাজার পরিবহনের চাপে সড়কের বিভিন্ন স্থানে যানজট এখন নিত্যসঙ্গী। ঈদের সময় এই যানজট ভয়াবহ আকার ধারণ করে ঘরমুখী মানুষকে চরম ভোগান্তিতে ফেলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

স্থানীয় সূত্র জানায়, হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে গাজীপুরের চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার সড়ক। আব্দুল্লাহপুর থেকে চান্দনা চৌরাস্তা পর্যন্ত ১২ কিলোমিটার সড়ক। সড়কের এই অংশগুলো অতিক্রম করতে সাত-আট ঘণ্টা সময় লাগে। অথচ যানজট না থাকলে এক ঘণ্টায় বিমানবন্দর থেকে গাজীপুর যাওয়া যেতো।

যাত্রী, গাড়িচালক ও স্থানীয়রা বলছেন, এখন ঢাকা থেকে গাজীপুর বাসে যেতে সময় লাগে প্রায় ছয় ঘণ্টা। এর মধ্যে টঙ্গী সেতুতে পৌঁছাতেই দুই ঘণ্টা লেগে যায়। বাকি সময় টঙ্গী সেতু থেকে চৌরাস্তা পর্যন্ত যেতে লাগে। সড়কের এমন বেহাল দশা আরও কোথাও নেই।

আরটি’র প্রকল্পের কাজ চলমান থাকায় গত ১০ বছর ধরে প্রতিদিন লাখ লাখ মানুষ চরম ভোগান্তি নিয়ে এই পথে যাতায়াত করছেন। ঈদ ও বিভিন্ন উৎসবে ঘরমুখী মানুষের দুর্ভোগ কয়েকগুণ বেড়ে যায়।