হাসিনার সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ

হাসিনার সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ

ভারত সফরের জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার (২৮ এপ্রিল) বিকালে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর এই আমন্ত্রণ জানান।

জয়শঙ্কর এদিন দুপুরে একদিনের সফরে ঢাকা এসে পৌঁছানোর পর পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বিমানবন্দরে তাকে স্বাগত জানান। বিকালে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতের পর দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমিতে বৈঠকে বসেন।

দুই পররাষ্ট্রমন্ত্রীর অনানুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে জয়শঙ্কর বলেন, ‘আমাদের শীর্ষ নেতৃত্বের মধ্যে যোগাযোগ আছে। আজকে বিকালে আমি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘আমি তাকে জানিয়েছি যে আমরা তার সফরের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি। তিনি তার সুবিধা মতো সময়ে সফর করতে পারেন। আমরা দ্বিপক্ষীয়, আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছি।’

জয়শঙ্করের সফরের উদ্দেশ্য

এক বছর পর ঢাকা এসেছেন এস জয়শঙ্কর। কিন্তু কোভিড চ্যালেঞ্জের সময়েও ঢাকার সঙ্গে তার নিয়মিত যোগাযোগ ছিল।

জয়শঙ্কর বলেন, ‘গত বছর প্রথমবারের মতো ভারতের প্রেসিডেন্ট এবং প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সফর করেছেন। আমার সফরের উদ্দেশ্য হচ্ছে—আমাদের সম্পর্কের গভীরতা বৃদ্ধি করার প্রয়াস অব্যাহত রাখা।’

প্রতিবেশী হিসেবে আমরা নিয়মিত, অনানুষ্ঠানিক এবং উষ্ণতার সঙ্গে যোগাযোগ বজায় রাখি এবং এটি দুই দেশের মধ্যে যে বিশ্বাস আছে, সেটির প্রতিফলন বলে তিনি জানান।

সহযোগিতা

ভারতের কানেক্টিভিটি বর্তমানে কোভিড-পূর্ববর্তী পর্যায়ে রয়েছে। বাস ও রেল সার্ভিস দ্রুত শুরু করার পরিকল্পনা করছে দেশটি।

জয়শঙ্কর বলেন, ‘দুই দেশের শীর্ষ নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নিয়েছেন—১৮টি রাজধানীতে মৈত্রী দিবস উদযাপন করা হবে। ভারতে বঙ্গবন্ধু চেয়ার প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে। বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের বৃত্তি দেওয়া হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু ও বাপু জাদুঘর প্রতিষ্ঠা করা হয়েছে।’

বাণিজ্য, বিভিন্ন প্রকল্পে ঋণদান, বিনিয়োগ, ভ্রমণসেবা নতুন উচ্চতায় পৌঁছেছে। কোভিডে যেটি কমে গিয়েছিল, সেটি আবারও ফেরত এসেছে বলে তিনি জানান।

বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাতে অনেক নতুন প্রকল্প শুরু করার বিষয়ে চিন্তাভাবনা হচ্ছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কোভিড আমাদের শিখিয়েছে আঞ্চলিকভাবে সাপ্লাই চেইন এবং ভ্যালু চেইন বজায় রাখা কতটুকু জরুরি।’

উপ-আঞ্চলিক কানেক্টিভিটি খাতে আরও বড় ধরনের সহযোগিতা চায় ভারত জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, ‘জলবিদ্যুৎ খাতে দুই দেশের জন্য এবং আঞ্চলিকভাবে সহযোগিতার অনেক সুযোগ রয়েছে। এই খাতে বিবিআইএন কাঠামোতে আমরা কাজ করতে চাই। এ খাতে উৎপাদন ও বাণিজ্য করার জন্য ভারত এ অঞ্চলে কাজ করে যাবে।’

পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে সোনালি অধ্যায় চলছে। বড় বড় সমস্যা আমরা সমাধান করেছি। যে ছোটখাটো সমস্যা আছে, সেগুলো সমাধানের অঙ্গীকার করেছি।’