ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুর স্টেশনে

ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুর স্টেশনে

ঈদের বাকি আর কয়েকদিন। সে হিসেবেই দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র ঈদুল ফিতরের খুশি। আর ঈদের এ খুশি ভাগাভাগি করে নিতে গ্রামের বাড়ি ছুটছেন মানুষ।

শুক্রবার (২৯ এপ্রিল) সাপ্তাহিকসহ ঈদের ছুটি শুরু হওয়ায় ঘরমুখী মানুষের চাপ বেড়েছে কমলাপুর রেলস্টেশনে।

এদিন সরেজমিনে দেখা যায়, ভোর থেকেই রেলস্টেশনে বাড়তে থাকে মানুষের চাপ। গেটে টিকিট চেক করে স্টেশনের ভেতরে প্রবেশ করতে দিচ্ছেন নিরাপত্তাপ্রহরীরা। আবার অনেকে নির্ধারিত সময়ের আগেই স্টেশনে এসে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছেন।

যানজট ও ট্রেন ধরতে না পারার আশঙ্কা থেকেই অনেক আগে স্টেশনের উদ্দেশ্যে রওনা হন এসব মানুষ। যাদের বাসা দূরে, তারা সেহেরির আগেই রওনা দিয়েছেন। আর যাদের কাছাকাছি এলাকায়, তারা সেহেরি খেয়ে রওনা দিয়েছেন স্টেশনে।

কথা হয় কিশোরগঞ্জগামী কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেসের যাত্রী সারোয়ার আলমের সঙ্গে। তিনি রাজধানীতে ব্যবসা করেন। ঈদ করতে গ্রামের বাড়ি ভৈরবে যাচ্ছেন। তার সঙ্গে স্ত্রী ও ভাই।

তিনি জানান, যানজটের কারণে ট্রেন যেন মিস না হয়, তাই অনেক আগেই চলে এসেছেন স্টেশনে। ট্রেন সকাল পৌঁনে এগারটায় ছাড়ার কথা থাকলেও তিনি এসেছেন আরও ঘণ্টা দুয়েক আগে।

দেওয়ানগঞ্জ ঈদ স্পেশাল এক্সপ্রেসের যাত্রী হাসানের সঙ্গে কথা হয় স্টেশনের চার নম্বর প্লাটফর্মে। বেসরকারি একটি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত এ ব্যক্তি বলেন, আজকে তো ছুটি শুরু, মানুষের ভিড় বেশি হবে। এটা আগেই অনুমান করেছিলাম, তবে ভিড়টা অনেক বেশিই মনে হচ্ছে, গরমও পড়েছে অনেক।

মো. সোহেল যাবেন রাজশাহী। ফেনীর একটি প্রজেক্টে কাজ করেন তিনি। আজই ভোরে ফেনী থেকে পরিবারসহ বাসে ঢাকায় এসেছেন। কিন্তু ঢাকা থেকে রাজশাহী যেতে ট্রেনের টিকিট আগে থেকে কাটা হয়নি। ফলে স্টেশনে এসে কিছুটা বিপাকে পড়েছেন। অনেক চেষ্টা করে একতা স্ট্যান্ডিং টিকিট পেয়েছেন।

কথা হলে তিনি বলেন, ট্রেনে কোনো সিট নেই। ফলে দীর্ঘ পথ ট্রেনে দাঁড়িয়ে যেতে ভোগান্তি হবে। ট্রেন যেতে এমনিতেই দেরি হবে। সব মিলিয়ে যাত্রায় স্বস্তি নেই, ভোগান্তি হবে বুঝা যাচ্ছে। তবে সব কষ্ট সার্থক হবে যদি ঠিকমতো বাড়ি পৌঁছাতে পারি।

এদিকে কমলাপুর রেলস্টেশনের ভারপ্রাপ্ত স্টেশন ম্যানেজার মো. আমিনুল হক বলেন, গত কয়েক দিনের তুলনায় আজকে যাত্রীর চাপ স্টেশনে বেড়েছে। সকাল থেকে সবগুলো ট্রেন সময় মতো ছেড়ে গেছে। আজকে বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে যাত্রীর চাপ আরও বাড়বে। যারা টিকিট কাটতে পারেননি, তাদের কিছু আন্তনগর ট্রেনের স্ট্যান্ডিং টিকিট দেওয়া হচ্ছে, যাতে সবাই বাড়ি ফিরতে পারে। এদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত ১৪টি ট্রেন কমলাপুর থেকে যাত্রা করেছে।