বজ্রপাত আর বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙেছে রাজধানীবাসীর

বজ্রপাত আর বৃষ্টির শব্দে ঘুম ভেঙেছে রাজধানীবাসীর

ঈদের পরের দিন বুধবার (৪ মে) ছুটির সকালে মেঘের গর্জনে ঘুম ভেঙেছে রাজধানীবাসীর। সেই সঙ্গে ছিল গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি। সকাল সকাল এমন ঠান্ডা আবহাওয়ায় নগরবাসীর কাছে স্বস্তি ফিরে এসেছে।

বুধবার (৪ মে) ভোর সাড়ে ৫টা দিকে আকাশ থেকে শোনা যায় মুহুর্মুহু বজ্রপাতের শব্দ। এরপরেই শুরু হয় বৃষ্টি। ভোর থেকে শুরু হওয়া এ বৃষ্টি সকাল ৮টার মধ্যেই অবশ্য থেমে যায়। বৃষ্টি থামলেও আকাশে ছিল মেঘের আনাগোনা।

এর আগে ঈদের দিন মঙ্গলবার (৩ মে) সকালে রাজধানীসহ সারা দেশে ঝড়বৃষ্টি হয়। এদিন সকাল সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর কিছু কিছু এলাকায় গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয়। ৯টার কিছু পরে কালো মেঘে যেন সন্ধ্যা নামে আসে। এরপরই শুরু হয় কালবৈশাখি, বজ্রপাত সঙ্গে তুমুল বৃষ্টি। সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বৃষ্টি অনেকটাই থেমে যায়, তবে আকাশ মেঘলা ছিল।

ঈদের দিন ঢাকায় ১৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়। তবে ঈদের দিন রংপুর বিভাগে কোনো বৃষ্টি হয়নি। এরপর সারা দিন রাজধানীতে কোনো বৃষ্টি দেখা মেলেনি। তাই নগরজুড়ে ছিল ঈদের আনন্দ উদ্‌যাপন।

আবহাওয়াবিদ মো. লতিফুল নেওয়াজ কবির সংবাদমাধ্যমকে জানান, বুধবার (৪ মে) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম, সিলেট ও ঢাকা বিভাগের অনেক জায়গায় এবং ময়মনসিংহ ও রংপুর বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সঙ্গে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে।

এ সময়ে সারাদেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা ১ থেকে ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস কমতে পারে বলেও জানান এ আবহাওয়াবিদ।

আগামী পাঁচ দিনের মধ্যে আন্দামান সাগরে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হতে পারে পারে বলেও পূর্বাভাসে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

গতকাল মঙ্গলবার রাত ৩টা থেকে বুধবার দুপুর ১টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে জানানো হয়েছে, রাজশাহী, পাবনা, যশোর, কুষ্টিয়া, খুলনা, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার অঞ্চলসমূহের ওপর পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টি অস্থায়ীভাবে ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ২ নম্বর নৌ-হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এ ছাড়া দেশের অন্যত্র পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি বা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।