কক্সবাজারে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়

কক্সবাজারে পর্যটকের উপচেপড়া ভিড়

ঈদের টানা ছুটিতে কক্সবাজারে ভিড় জমিয়েছেন কয়েক লাখ পর্যটক। ইতোমধ্যে সেখানকার সব হোটেল-মোটেল দর্শণার্থীতে ভরে গেছে। এতে রেস্তোরাঁ ব্যবসা জমজমাট হয়েছে।

বিশ্বের দীর্ঘতম সমুদ্র সৈকতের সৌন্দর্য উপভোগ করতে এসেছেন বিদেশি পর্যটকরাও। তবে অভিযোগ উঠেছে, কর্তৃপক্ষের কঠোর নজরদারির অভাবে সমুদ্র দর্শনে এসে ঝুট-ঝামেলায় পড়ছেন তারা।

করোনায় গেলো চার ঈদের খরা কাটিয়ে প্রাণ ফিরে পেয়েছে পর্যটন নগরী। সমুদ্র সৈকতের শৈবাল পয়েন্ট থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকা লোকারণ্য। কেউ বিস্তীর্ণ সৈকতের বালিয়াড়িতে ঘুরে বেড়াচ্ছেন, ঘোড়ায় চড়ছেন। আবার কেউ বালিয়াড়িতে আলপনা আঁকছেন।

অনেকে ছাতার নিচে বসে সাগরের হাওয়ায় গা ভাসাচ্ছেন। কেউ মোবাইল ফোনে আনন্দের এ মুহূর্তকে ফ্রেমবন্দি করছেন। অনেকেই সাগরজলে ঢেউয়ের তালে তাল মেলাচ্ছেন। শিশুরা বাবা-মায়ের সঙ্গে জলকেলিতে ব্যস্ত থাকছেন।

এসব কিছু দারুণভাবে লুফে নিচ্ছেন হোটেল-মোটেল-রেস্তোরাঁ ব্যবসায়ীরা। তাদের ব্যবসাটা জমে উঠেছে। তারা বলছেন, এবারেরর ঈদের ছুটিতে এখানে দিনে অন্তত পাঁচ লাখ পর্যটকের সমাগম হচ্ছে। তাদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিচ্ছে ট্যুরিস্ট পুলিশ।

প্রশাসন জানাচ্ছে, পর্যটকদের হয়রানি রোধে মাঠে কাজ করছে তারা। অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নিচ্ছে।

করোনা মহামারির কারণে পর্যটনকেন্দ্রগুলো বন্ধ ছিল। ফলে কিছু দিন কক্সবাজার ভ্রমণে আসতে পারেননি মানুষ।

তবে খাত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, দূর পথ পাড়ি দিয়ে বিভিন্ন জেলা থেকে আসা পর্যটকেরা হয়রানির মুখে পড়লে কক্সবাজার বিমুখ হতে পারেন।