৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ: নর্থ সাউথের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে মামলা

প্রায় ৩০৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দেশের শীর্ষ বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আজিমউদ্দিন ও চার সদস্যসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার (৫ মে) দুদকের সমন্বিত ঢাকা জেলা কার্যালয়-১ এ সংস্থাটির উপ-পরিচালক ফরিদ উদ্দিন পাটোয়ারী বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন।

যে ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে তারা হলেন- নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির চেয়ারম্যান আজিমউদ্দিন আহমেদ, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টির সদস্য এম.এ. কাশেম, বেনজীর আহমেদ, মিসেস রেহানা রহমান, মোহাম্মদ শাহজাহান ও আশালয় হাউজিং অ্যান্ড ডেভেলপার্স লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিন মো. হিলালী।

মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার সর্বোচ্চ কর্তৃপক্ষ হলেন বোর্ড অব ট্রাস্টিজ। রুলস এবং রেগুলেশনস অনুযায়ী এই বিশ্ববিদ্যালয় একটি দাতব্য, কল্যাণমুখী, অবাণিজ্যিক ও অলাভজনক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান।

কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন ও শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে পাশ কাটিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের কয়েকজন সদস্যের অনুমোদন নিয়ে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাস উন্নয়নের নামে ৯ হাজার ৯৬ দশমিক ৮৮ ডেসিমেল জমি ক্রয়ের জন্য ৩শ' তিন কোটি ৮২ লাখ ১৩ হাজার ৪৯৭ টাকা অপরাধজনকভাবে বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিল থেকে গ্রহণ করেছে।

আরও পড়ুন: উত্তরায় অটোরিকশা-প্রাইভেটকারের সংঘর্ষে নিহতের ঘটনায় চালক আটক

এজাহারে আরও বলা হয়েছে, তারা টাকা আত্মসাতের উদ্দেশ্যে কম দামে জমি কেনা সত্ত্বেও বেশি দাম দেখিয়ে প্রথমে বিক্রেতার নামে টাকা প্রদান করে। পরে বিক্রেতার কাছ থেকে নিজেদের লোকের নামে নগদ চেকের মাধ্যমে টাকা উত্তোলন করে আবার নিজেদের নামে এফডিআর করে রাখেন এবং পরে আবার নিজেরা ওই এফডিআর’র অর্থ উত্তোলন করে আত্মসাত করেন।

অবৈধভাবে আয়ের অবস্থান গোপন করে অর্থ হস্তান্তর, স্থানান্তর মাধ্যমে মানিলন্ডারিংয়ের অপরাধও সংঘটন করেন তারা। এমন শাস্তিযোগ্য অপরাধ এবং বেআইনি কার্যকলাপের মাধ্যমে ক্ষমতার অপব্যবহার করে বিশ্বাসভঙ্গ করেছেন।

সেই সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ আত্মসাত করে নিজেরা অন্যায়ভাবে লাভবান হয়েছেন। এই বেআইনি কার্যক্রম করার ক্ষেত্রে প্রতারণা ও জালজালিয়াতির আশ্রয় বা ঘুষের আদান প্রদান করে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করায় তাদের বিরুদ্ধে দুদক মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২)(৩) ধারায় ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলা দায়ের করা হয়েছে।