ইউএনও’র গাড়ির ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত

ইউএনও’র গাড়ির ধাক্কায় সাংবাদিক নিহত

নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুখময় সরকারের গাড়ির চাপায় স্থানীয় সাংবাদিক ও বন্দর স্কুলের শিক্ষক সোহেল আহমেদ জীবন (২৫) নিহত হয়েছেন। সোমবার সকালে সিংড়ার নিঙ্গইন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত সোহেল সিংড়া পৌর এলাকার বালুয়া বাসুয়া মহল্লার মৃত আব্দুল জলিলের ছেলে। তিনি আগপাড়া শেরকোল বন্দর উচ্চ বিদ্যালয় এন্ড কলেজের সহকারি শিক্ষক।

স্থানীয়রা জানান, সোমবার সকালে মোটর সাইকেলে করে কর্মস্থলে যাচ্ছিলেন স্থানীয় সাংবাদিক সোহেল আহমেদ জীবন। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা নলডাঙ্গার ইউএনও সুখময় সরকারের গাড়ির সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয় সোহেলের মোটর সাইকেলের। এতে মোটর সাইকেলটি ইউএনও’র গাড়ির নিচে ঢুকে যায়। স্থানীয়রা সোহেলকে উদ্ধার করে প্রথমে সিংড়া ও পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজে ভর্তি করে। সেখানে বেলা বারোটার দিকে চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার সময় গাড়িতে ইউএনও’র স্ত্রী মানসি দত্ত মৌমিতা ছিলেন।

মৌমিতা সিংড়া সরকারী গোল-ই আফরোজ সরকারী কলেজের বাংলা বিভাগের শিক্ষিকা। ইউএনও’র সরকারী গাড়িতেই নিয়মিত কর্মস্থলে যান তার স্ত্রী এমনটা জানান স্থানীয়রা। তবে সুখময় সরকার স্ত্রীকে কর্মস্থলে পৌঁছে দেয়ার কথা অস্বীকার করে বলেন, নলডাঙ্গা ছোট উপজেলা। সেখানে পেট্রোল সঙ্কটের কারণে সিংড়ায় পেট্রোল নিতে পাঠিয়েছিলাম। নলডাঙ্গায় সব সময় পাম্প খোলা থাকে না সদর বা সিংড়া থেকে তেল আনা হয়। দূর্ঘটনার সময় তার স্ত্রী কর্মস্থলে ক্লাস নিচ্ছিলেন গাড়িতে ছিলেন না।

সিংড়ার ইউএনও এম এম সামিরুল ইসলাম বলেন, আমরা নিহতের চিকিৎসার জন্য সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছিলাম। তাকে বাঁচানো সম্ভব হয়নি। পরবর্তীতে পরিবারকে সহযোগিতা করার কথা জানান তিনি।

সাংবাদিক সোহেল রানা পরিবেশ ও প্রকৃতি আন্দোলনের সহ-সভাপতি, কালের কন্ঠ শুভ সংঘের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।