স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো শহর

স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো শহর

কয়েকদিন ধরেই ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ হয়ে গিয়েছিল ঢাকাবাসী। অবশেষে স্বস্তির বৃষ্টিতে ভিজলো শহর। শনিবার ভোর থেকেই ঠাণ্ডা বাতাস বইতে শুরু করলো। এরপর ঝুম বৃষ্টি। চারদিক শীতল করে দিয়ে গেলো।

শুধু ঢাকা নয়, কুমিল্লা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, চাঁদপুর, ঝিনাইদহ, মাগুরা, নড়াইল, মানিকগঞ্জ, মুন্সিগঞ্জ, ফরিদপুর, মাদারীপুর, শরিয়তপুর ও যশোর অঞ্চলেও ঝড় বৃষ্টির খবর পাওয়া গেছে।

গত কয়েকদিনের তুলনায় শুক্রবার ঝড়-বৃষ্টির প্রবণতা বেড়েছে। এ দিন খুলনা বিভাগ ছাড়া সব বিভাগেই কম বেশি বৃষ্টি হয়েছে।

তবে ঝড়-বৃষ্টির এ প্রবণতা আগামী কয়েকদিন অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর।

শুক্রবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল যশোরে, ৩৭ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩২ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

আবহাওয়াবিদ খোঃ হাফিজুর রহমান জানান, শনিবার সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত রংপুর, রাজশাহী, ঢাকা, ময়মনসিংহ ও সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায়, চট্টগ্রাম বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় এবং খুলনা ও বরিশাল বিভাগের দু-এক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়ার সাথে প্রবল বিজলি চমকানোসহ বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। সেই সাথে দেশের কোথাও কোথাও মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।

খুলনা বিভাগ বৃষ্টিহীন থাকায় যশোর ও সাতক্ষীরা জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা শনিবারও অব্যাহত থাকতে পারে বলে জানিয়েছেন এ আবহাওয়াবিদ।

বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, মর্তবান উপসাগর ও তৎসংলগ্ন মিয়ানমারে সৃষ্ট লঘুচাপটি ঘনীভূত হয়ে প্রথমে সুস্পষ্ট লঘুচাপ এবং পরবর্তীতে নিম্নচাপে পরিণত হয়ে একই এলাকায় অবস্থান করছে। এটি উত্তরপূর্ব দিকে সরে গিয়ে মিয়ানমার উপকূলের দিকে অগ্রসর হতে পারে। অপর একটি লঘুচাপের বর্ধিতাংশ বিহার, পশ্চিমবঙ্গ ও বাংলাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চল হয়ে উত্তর বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।

শনিবার সকাল ৭টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত দেশের অভ্যন্তরীণ নদীবন্দরগুলোর জন্য আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, যশোর, কুষ্টিয়া, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসব এলাকার নৌবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।

এছাড়া দেশের অন্যান্য অঞ্চলের ওপর দিয়ে পশ্চিম বা উত্তর-পশ্চিম দিক থেকে ঘণ্টায় ৪৫ থেকে ৬০ কিলোমিটার বেগে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ অস্থায়ীভাবে বৃষ্টি বা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। আবহাওয়ার পূর্বাভাসে এসব এলাকার নৌবন্দরসমূহকে এক নম্বর সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।