দেশের অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক চাপ

দেশের অর্থনীতিতে বহুমাত্রিক চাপ

একদিকে ভর্তুকির চাপে দিশেহারা সরকার অন্যদিকে নিত্যপণ্যের দামে নাভিশ্বাস সাধারণ মানুষের। রপ্তানিতে খানিকটা ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও তা খেয়ে নিচ্ছে আমদানির চড়া ব্যয়। অন্যদিকে রেমিট্যান্সের ধারাও নিম্নমুখী। সব মিলিয়ে অর্থনীতির বহুমাত্রিক চাপে সরকার। যা থেকে শিগগিরই উত্তরণের আভাস নেই।

বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন সমাদৃত বিশ্বজুড়ে। করোনাকালেও তাক লাগানো প্রবৃদ্ধি আর দ্রুত ঘুরে দাঁড়ানোর বিচারে ছাড়িয়ে গেছে অনেককেই। কিন্তু বিশ্ববাজারে পণ্যের চড়া দর আর যুদ্ধের আঁচ ভোগাচ্ছে নানাভাবে।

অর্থনীতিতে আলোচনার অন্যতম ইস্যু এখন ডলারের অস্বাভাবিক দর। এর ফলে আমদানি খরচ বেড়ে প্রভাব ফেলেছে মূল্যস্ফীতিতে। অর্থবছরের প্রথম দশ মাসের হিসাবে রপ্তানি, রেমিট্যান্স মিলিয়ে মাসিক গড় আয় যেখানে ছিল ৬০৬ কোটি ডলার। সেখানে আমদানিতে গড় ব্যয় ছিল ৬৮৩ কোটি ডলার। ফলে প্রতি মাসের ৭৭ কোটি ডলারের নিট ঘাটতি চাপে ফেলেছে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভকে।

সরকারি প্রক্ষেপণে বাংলাদেশের জিডিপি এখন ৪৬৫ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি অর্থবছর আমদানি রপ্তানি ও প্রবাসী আয়ের পরিমাণ হতে পারে ১৫৭ বিলিয়ন ডলার। অর্থাৎ জিডিপির এক তৃতীয়াংশের বেশি এখন সরাসরি সম্পৃক্ত বিশ্ববাণিজ্যের সঙ্গে। তাই বৈশ্বিক যে কোনো পরিস্থিতি সরাসরি ভোগোচ্ছে বাংলাদেশকে। অন্যদিকে বিশ্বব্যাপী জ্বালানি ও সারের দাম ধরা ছোঁয়ার বাইরে চলে যাওয়ায় রেকর্ড ছাড়াচ্ছে সরকারের ভর্তুকি।

এমন অবস্থার মধ্যেও চলতি অর্থবছরে প্রবৃদ্ধির প্রত্যাশা সোয়া ৭ শতাংশ।