ছিন্নমূলদের আশ্রয়কেন্দ্র র‍্যাবের দখলে: মেয়র তাপস

ছিন্নমূলদের আশ্রয়কেন্দ্র র‍্যাবের দখলে: মেয়র তাপস

ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের জন্য নির্মিত আশ্রয়কেন্দ্র র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব) দখল করে রেখেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস। তিনি বলেছেন, আশ্রয়কেন্দ্রটি ছেড়ে দিতে অনুরোধ করা হলেও তারা (র‍্যাব) দখল ছাড়েনি।

বুধবার দুপুরে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ে একটি গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র এ কথা বলেন বলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে। ভবঘুরে ও ছিন্নমূলদের পুনর্বাসনের জন্য সিটি করপোরেশনের পরিকল্পনা রয়েছে বলেও জানিয়েছেন মেয়র শেখ ফজলে নূর।

নগরে ছিন্নমূল ব্যক্তিদের সুবিধা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, ‘ছিন্নমূল ও ভবঘুরেদের জন্য আমাদের আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। কিন্তু সেটা র‌্যাব দখল করে আছে। আমরা অনুরোধ করেছি সেটা ছেড়ে দিতে, কিন্তু এখনো তারা দখল ছাড়েনি।’

ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের সম্পত্তি বিভাগ সূত্র বলছে, রাজধানীর ধলপুর এলাকায় সিটি করপোরেশনের একটি আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে এটি র‍্যাব–১০–এর কার্যালয় হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।

দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, আশ্রয়কেন্দ্রের জায়গা ছেড়ে দিতে তাঁরা ইতিমধ্যে র‌্যাবকে ছয় দফা চিঠি দিয়েছেন। কিন্তু এখনো এটি ফিরিয়ে দেওয়া হয়নি। র‍্যাব বলেছে, তারা বিকল্প জায়গা খুঁজছে। জায়গা খুঁজে পেলে এটি ছেড়ে দেওয়া হবে।

যাত্রাবাড়ী এলাকার জনপথ মোড়ে গণশৌচাগার উদ্বোধন শেষে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ঢাকাবাসীর দীর্ঘদিনের একটি আকাঙ্ক্ষা ছিল যেসব জায়গায় গণপরিসর ও মানুষের আনাগোনা বেশি, সেসব জায়গায় যেন পর্যাপ্ত গণশৌচাগার নির্মাণ করা হয়। সেই কার্যক্রম তাঁরা শুরু করেছেন। প্রথম পর্যায়ে দক্ষিণ সিটির ৭৫টি ওয়ার্ডে ন্যূনতম একটি করে গণশৌচাগার নির্মাণ করা হবে। পরে জরিপ করে আরও চাহিদা অনুযায়ী এ সংখ্যা বাড়ানো হবে।

এর আগে মেয়র শেখ তাপস নগরীর মতিঝিল এলাকায় ৮ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্বর্তীকালীন বর্জ্য স্থানান্তর কেন্দ্র এবং ৭২ নম্বর ওয়ার্ডে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ৫৫ জন নারীর প্রত্যেকের মধ্যে ১০ হাজার টাকা করে মোট ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা অনুদান বিতরণ করেন।

এ সময় অন্যান্যের মধ্যে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য কাজী মনিরুল ইসলাম, দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ফরিদ আহাম্মদ, প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা এয়ার কমোডর সিতওয়াত নাঈম, প্রধান প্রকৌশলী সালেহ আহম্মেদ, সচিব আকরামুজ্জামান, অঞ্চল-২–এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা সুয়ে মেন জো ও প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।