সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ইসির সামনে ৩৫ প্রার্থীর অবস্থান

সুষ্ঠু নির্বাচনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে ইসির সামনে ৩৫ প্রার্থীর অবস্থান

কোনো প্রকার প্রতিবন্ধকতা ছাড়া সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে নির্বাচন কমিশন (ইসি) ভবনের সামনে অবস্থান করেছেন ৩৫ প্রার্থী। অবস্থানকারী প্রার্থীরা নোয়াখালীর দ্বীপ উপজেলা হাতিয়ার চানন্দী ও হরণি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান ও সদস্য প্রার্থী। এ সময় তাদের প্রত্যেকের হাতে বিষের বোতলও ছিল।

অবস্থান কর্মসূচিতে স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী দুইজন, বিভিন্ন ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী ২৫ জনসহ স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গসহ মোট ৩৫ জন উপস্থিত ছিলেন। মঙ্গলবার (৩১ মে) সকাল ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত পিছনে ব্যানার দিয়ে ইসি ভবনের সামনে তারা অবস্থান করেন। পরে একজন উপ-সচিব এসে সুষ্ঠু নির্বাচন হবে মর্মে আশ্বস্ত করলে তারা অবস্থান থেকে ফিরে আসেন।

অবস্থানকারীরা জানান, নদী গর্ভ থেকে জেগে উঠার পর থেকে ওই দুই ইউনিয়ন প্রশাসক নিয়ে সেবা দিয়ে আসছিল। প্রায় ১৭ বছর পর আগামী ১৫ জুন ইউনিয়নে নির্বাচন হতে যাচ্ছে। কিন্তু নির্বাচনকে ঘিরে কোনো প্রকার প্রচার-প্রচারণায় অংশ নিতে পারছে না তারা। তাদের অভিযোগ, নোয়াখালী-৬ আসনের সংসদ সদস্য আয়েশা ফেরদাউসের স্বামী সাবেক সাংসদ ও হাতিয়া আ. লীগের সভাপতি মোহাম্মদ আলী এবং তার অনুসারীরা প্রচার-প্রচারণায় বাধা দিচ্ছে। উপজেলা থেকে জেলা প্রশাসন পর্যন্ত সব স্থানে লিখিত আবেদন করেও তারা কোনো প্রতিকার পাচ্ছেন না। তাই নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির দাবি নিয়ে বাধ্য হয়ে ইসি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছে তারা।

চানন্দী ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. আমিরুল ইসলাম শামীম জানান, নির্বাচনী প্রচারণা ও নির্বাচনের দিন সাধারণ ভোটার যেন নির্বিঘ্নে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে সে ব্যবস্থা নিতে হবে প্রশাসনকে। এখন নির্বাচনের দিন পর্যন্ত হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. সেলিম হোসেন, সহকারী পুলিশ সুপার (হাতিয়া সার্কেল) ও হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আমির হোসেনকে প্রত্যাহার করতে হবে।

হরণি ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মো. মুসফিকুর রহমান জানান, তিনি ঘোড়া প্রতীক নিয়ে ১ নম্বর হরণি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বী করছেন। তফসিল ঘোষণার পর থেকে যাতে করে তিনি বা তারা ফরম ক্রয় ও জমা দিতে না পারে সে জন্য নানা প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছিল সাবেক সাংসদ মোহাম্মদ আলী ও তার লোকজন। পরে সংবাদ সম্মেলন করে এবং নির্বাচন অফিসে লিখিত দিলে হাতিয়ার পাশাপাশি সুবর্ণচরে সকল কার্যক্রম চালু করা হলে তারা ফরম সংগ্রহ ও জমা দিতে পারে। সর্বশেষ গত কয়েকদিন আগে তিনি নির্বাচনী প্রচারণায় নামলে হাতিয়া বাজার এলাকায় তার ওপর হামলা করে নৌকা প্রতীকের প্রার্থীর লোকজন। এতে তিনি ও একজন পুলিশ সদস্যসহ ১৫ জন আহত হন। এমন অবস্থায় তারা নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছেন। তারা স্থানীয় প্রশাসনের কাছে কোনো সহযোগিতাই পাচ্ছেন না। তাই বাধ্য হয়ে ইসি ভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছেন।