তিস্তায় বাড়ছে পানি, নিমজ্জিত হচ্ছে চরাঞ্চল

তিস্তায় বাড়ছে পানি, নিমজ্জিত হচ্ছে চরাঞ্চল

গত ১8 ঘন্টায় তিস্তায় পানি বেড়েছে ৪৪ সেন্টিমিটার, যা বিপৎসীমার ৪৮ সেন্টিমিটার নিচে। এরইমধ্যে তলিয়ে যাচ্ছে তিস্তা অববাহিকার চরাঞ্চলের নিচু স্থানগুলো।

রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব জানিয়েছেন, বৃষ্টিপাত ও উজানের ঢলের কারণে তিস্তায় বুধবার রাত ৯টা থেকে পানি বৃদ্ধি হচ্ছে। বৃহস্পতিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত পানি বেড়েছে ৪৪ সেন্টিমিটার। আগামী ৩৬ ঘণ্টায় তিস্তা নদীর পানি সমতল বৃদ্ধি অব্যাহত থাকবে এবং কোনো কোনো স্থানে বিপৎসীমা অতিক্রম করবে।

এদিকে রংপুর আবহাওয়া অফিস জানায়, বৃহস্পতিবার দুপুর ১২ টা পর্যন্ত ২৪ ঘন্টায় ৭০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে এই অঞ্চলে।

তিস্তায় পানি বৃদ্ধি শুরু হওয়ায় এই নিলফামারীর ডিমলার ছাতনাই এলাকা থেকে জলঢাকা, লালমনিরহাটের পাটগ্রাম, হাতীবান্ধা, কালিগঞ্জ, আদিতমারি, সদর, রংপুরের গঙ্গাচড়া, কাউনিয়া, পীরগাছা, কুড়িগ্রামের রাজারহাট, উলিপুর, চিলমারি এবং গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জের হরিপুরের ব্রহ্মপুত্র নদ পর্যন্ত অববাহিকার ৩৫২ কিলোমিটার এলাকার চরাঞ্চল ও নিম্নাঞ্চলে পানি ঢুকছে। এতে এসব এলাকার উঠতি বাদাম, আমনের চারা, পাট, সবজিসহ বিভিন্ন ফসল নিমজ্জিত হচ্ছে। এছাড়াও পানি ঢুকছে নিম্নাঞ্চলের বাসাবাড়িতে।

পানি বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই অথবা অতিক্রম করলে এই অঞ্চলে ভয়াবহ বন্যায় বিপুল পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করছেন সংশ্লিষ্টরা।

গঙ্গাচড়ার চরের সাইদুল ইসলাম জানান, ‘বুধবার রাত থেকে হওয়া বৃষ্টি ও নদীর পানির কারণে আমার বাড়ির সামনের যে বাঁধ ছিল সেটি প্রায় অর্ধেক ভেঙে গেছে। পানি ঢুকছে আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বিভিন্ন এলাকায়। এই এলাকার ভুট্টার দামসহ বিভিন্ন ফসল তলিয়ে যাচ্ছে।’

তিনি বলেন, ‘পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকে তাহলে সামনের দিনগুলোতে আমরা অনেক দুর্দশায় পড়বো। আমন লাগানোর জন্য বীজও ফেলতে পারছি না আমরা। যুগের পর যুগ ধরে আমরা ডান তীরে বাঁধ নির্মাণের দাবি জানাচ্ছি কিন্তু সরকার সেটি করছে না।’