অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি

অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহার দাবি

মানবাধিকার নিয়ে কাজ করা বেসরকারি সংগঠন ‘অধিকার’-এর নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ জানিয়েছে মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি।

একই সঙ্গে অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের জন্য এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি বলেছে, অধিকার বাংলাদেশের অন্যতম মানবাধিকার সংস্থা। এই প্রতিষ্ঠানটি খুন, গুম, নির্যাতনের অভিযোগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে কাজ করে আসছে। দেশে সংগঠিত বিভিন্ন অপরাধের প্রতিবেদন সংরক্ষণ করে থাকে। উচ্চ আদালতে অধিকারের নিবন্ধন নিয়ে একটি রিট মামলা চলাকালীন অবস্থায় এনজিও ব্যুরো নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আদালতে বিচারাধীন একটি বিষয়ে আবেদনপত্রে অসংগতি, বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশসহ বিভিন্ন অভিযোগে একটি মানবাধিকার সংস্থার নিবন্ধন বাতিল করা আইনের শাসন ও সাংবিধানিক অধিকারের পরিপন্থী।

মৌলিক অধিকার সুরক্ষা কমিটি মনে করে, এনজিও ব্যুরোর এমন সিদ্ধান্তের ফলে মানবাধিকারকর্মী ও মানবাধিকার রক্ষায় কাজ করে এমন সংগঠনের স্বাধীন ও নিরপেক্ষভাবে কাজ করার পথ রুদ্ধ হবে।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যথাযথ প্রক্রিয়া অনুসরণ না করে বিচারাধীন বিষয়ে প্রশাসনিক এমন সিদ্ধান্ত বিচার বিভাগের প্রতি অসম্মান ও অশ্রদ্ধা প্রকাশ করে।

প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধন নবায়নের জন্য অধিকার ২০১৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর এনজিওবিষয়ক ব্যুরোতে আবেদন করে। তবে নবায়ন না হওয়ায় অধিকারের পক্ষ থেকে ২০১৯ সালে হাইকোর্টে একটি রিট করা হয়। এই রিটের পরিপ্রেক্ষিতে কেন নিবন্ধন নবায়নের আবেদন নিষ্পত্তি হচ্ছে না, সেই মর্মে ওই বছরের ১৩ সেপ্টেম্বর হাইকোর্ট রুল জারি করেন।

এনজিওবিষয়ক ব্যুরোর দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ব্যুরোর পক্ষ থেকে চাওয়া তথ্য না দেওয়া, নতুন আইনে আরোপিত বর্ধিত ফি ও ভ্যাট না দেওয়া, বৈদেশিক প্রকল্পের আটটি অডিট রিপোর্টের ওপর তোলা আপত্তির কোনো ব্যাখ্যা না দেওয়া, গোয়েন্দা সংস্থার পক্ষ থেকে তিনটি প্রকল্পের কার্যক্রমসংক্রান্ত আর্থিক লেনদেনের অসংগতির বিষয়ে ব্যুরোর পক্ষ থেকে চাওয়া তথ্য দেওয়া হয়নি। এর পাশাপাশি চিঠিতে বলা হয়, ‘বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ইস্যু সৃষ্টি করে কথিত গুম-খুনসহ বিচারবহির্ভূত বিভিন্ন হত্যার বিষয়ে অধিকারের নিজস্ব ওয়েবসাইটে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রকাশের মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালানো হয়। এতে বহির্বিশ্বে রাষ্ট্রের ভাবমূর্তিকে দারুণভাবে ক্ষুণ্ন করে।’