অধিকারের নিবন্ধন বাতিল মানে মানবাধিকার কর্মীদের ভয় দেখানো: অ্যামনেস্টি

অধিকারের নিবন্ধন বাতিল মানে মানবাধিকার কর্মীদের ভয় দেখানো: অ্যামনেস্টি

বাংলাদেশের সরকার মানবাধিকার সংগঠন অধিকার-এর নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্ত নেবার পর তার কঠোর সমালোচনা করেছে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল।এক বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল বলছে, অধিকারের নিবন্ধন নবায়ন না করার সিদ্ধান্তের অর্থ মানবাধিকার রক্ষায় যারা কাজ করে তাদের কণ্ঠ রোধ করা এবং ভীতি প্রদর্শনের চেষ্টা।

সংস্থাটি আরও বলছে, মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীদের সম্পর্কে তথ্য রাখা এর বিচারে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।

অ্যামনেস্টি বলছে মানবাধিকার রক্ষায় বাংলাদেশের খুব দুর্বল রেকর্ডের কারণে দেশটি আন্তর্জাতিক মহলের ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়ার মুখে পড়েছে।

আর এ নিয়ে তথ্য প্রকাশ করার কারণে নিবন্ধন নবায়ন না করার বিষয়টি হাস্যকর এবং অধিকারের আন্তর্জাতিক গ্রহণযোগ্যতার প্রতি সরকারের ক্ষোভের প্রকাশ বলে উল্লেখ করেছে অ্যামনেস্টি।

অবিলম্বে সংগঠনটির কাজের অধিকার নিশ্চিত করার দাবি জানিয়েছে সংস্থাটি।

অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ক্যাম্পেইনার সাদ হাম্মাদি বিবিসিকে বলেছেন, "একটি মানবাধিকার সংস্থার কাজ এবং প্রতিবেদনকে কেন্দ্র করে সেই সংস্থাটির নিবন্ধন নবায়ন না করা কোনভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। সরকার বা রাষ্ট্রের দায়িত্ব মানবাধিকার সংগঠনগুলো যে ধরনের তথ্য বা মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগ প্রকাশ করে, সেই অভিযোগগুলোকে যথাযথ এবং নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে জনসমক্ষে তুলে ধরা। অধিকারের নিবন্ধন বাতিল করার অর্থ হল মানবাধিকার এবং মানবাধিকার কর্মীদের প্রতি একটি ভয়ঙ্কর আগ্রাসনের লক্ষণ।"

সরকার তার কঠোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসে অধিকার এবং অন্যান্য মানবাধিকার সংস্থাগুলোকে কোন হস্তক্ষেপ ছাড়া কাজ করার সুযোগ দেবে এমন দাবি করেছেন তিনি।-বিবিসি বাংলা