‘হতাহতের জন্য ডিপো কর্তৃপক্ষ দায়ী’

‘হতাহতের জন্য ডিপো কর্তৃপক্ষ দায়ী’

রাসায়নিক রাখার তথ্য গোপন করায় বিএম কনটেইনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণে হতাহতের সংখ্যা বেড়েছে বলে অভিযোগ করেছে চট্টগ্রাম শ্রমিক-কর্মচারী ঐক্য পরিষদ। ঐক্য পরিষদের সমন্বয়ক তপন দত্ত অভিযোগ করেন, রাসায়নিক দ্রব্য থাকার বিষয়টি ফায়ার সার্ভিসের কাছে গোপন করার কারণে ৪৮টি তাজা প্রাণ ঝরে গেছে। তথ্য গোপন করে মালিক পক্ষ ক্ষমার অযোগ্য অপরাধ করেছে। এ ঘটনায় মালিকদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শান্তি তো দূরে থাক বরং তাদের বাঁচানোর জন্য নানা প্রক্রিয়া ও ফন্দিফিকির আমরা দেখছি।

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর প্রেস ক্লাবের এস রহমান হলে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি আরও বলেন, ডিপোতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ঘটনায় প্রায় অর্ধশত লোক নিহত ও চার শতাধিক শ্রমিক আহত হয়েছেন। এখনও অনেক শ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। অনেকের শরীর ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। ফলে অনেক নিহতের লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা সম্ভব হয়নি। অথচ এত বড় হৃদয়বিদারক ঘটনার পরেও প্রশাসন দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না, এমনকি প্রতিবাদ করতে চাইলে তাতেও বাধা দিয়ে শ্রমজীবী মানুষের সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নেওয়া হচ্ছে। সম্প্রতি বিএম ডিপোর ঘটনায় মালিক পক্ষকে বাদ দিয়ে আট জন ডিপো কর্মকর্তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক চরিত্র প্রশ্নবিদ্ধ হচ্ছে।

সংবাদ সম্মেলনে ৭ দফা দাবি পেশ করা হয়। এরমধ্যে বিস্ফোরণে মারা যাওয়া প্রত্যেকের আজীবন আয়ের সমপরিমাণ ক্ষতিপূরণ প্রদান করার দাবি রয়েছে। আহতদের চিকিৎসাকালীন বেতন ছুটিসহ সুচিকিৎসা নিশ্চিত করতে হবে। আহতদের মধ্যে কেউ পঙ্গু হয়ে গেলে তাদের ক্ষেত্রে আজীবন আয় ও ভোগান্তি হিসাব করে তার সমপরিমাণ টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কেউ আংশিক পঙ্গু হলে তাদের পুনর্বাসনসহ অঙ্গহানি বিবেচনায় নিয়ে যথাযথ ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। নিরাপত্তার স্বার্থে চট্টগ্রাম মহানগর ও আবাসিক এলাকা থেকে সব কনটেইনার ডিপো দ্রুত স্থানান্তরের উদ্যোগ নিতে হবে। কনটেইনার ডিপোগুলোর নিরাপত্তা ঘাটতি নিরূপণের জন্য একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন তদন্ত কমিটি গঠন করার দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে চট্টগ্রাম শ্রমিক কর্মচারী ঐক্য পরিষদের যুগ্ম সমন্বয়ক নাজিম উদ্দীনসহ অন্যান্য কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।