ফরিদপুরের ভাঙ্গায় ৪০ ভরি স্বর্ণ ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন করেছেন এএসআই বাবুল। এক দিনের রিমান্ডে নেওয়ার পর স্বর্ন ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করে পুলিশের নিকট জবানবন্দি দিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার বিকালে বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ভাঙ্গা থেকে ফরিদপুর জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই গোলাম মোন্তাছীর মারুফ জানান, গত বুধবার ফরিদপুর কোর্টের ৩নং আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদা মো. ফরিদ উদ্দিনের আদালতে শুনানি শেষে এএসআই বাবুল ও তার সহযোগী মেহেদী হাসান মৃদুল মুন্সিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করা হয়। পরে আদালত বাবুলের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর ও তার সহযোগী যুবক মৃদুল মুন্সিকে জেল গেটে জিজ্ঞাসার জন্য আদেশ দেন।
ওইদিন রাতে বাবুলকে ভাঙ্গা থানায় আনা হয়। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তার নিকট একদিনের রিমান্ড ও জিজ্ঞাসাবাদে বাবুল স্বর্ন ছিনতাইয়ের কথা স্বীকার করেছেন। পরে বৃহস্পতিবার বিকালে পুনরায় তাকে ফরিদপুর জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এএসআই বাবুলকে জিজ্ঞাসাবাদে আরও কিছু গোপন তথ্য বেরিয়ে এসেছে। কিন্তু তদন্তের স্বার্থে এই মুহুর্তে সব কিছু বলা যাচ্ছে না। অপরাধী যেই হোক আইনের উর্ধ্বে কেউ নন। সে পুলিশ সদস্য হোক আর সাধারণ কোনো মানুষই হোক।
উল্লেখ্য, গত ৮ জুলাই রাতে ভাঙ্গা পৌর বাজারের স্বর্ণকার পট্টির পলাশ বনিক ও সোনার তরী জুয়েলার্স থেকে ১১টি স্বর্ণের বার ক্রয় করেন পাপ্পু বিশ্বাস নামের এক স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সেখান থেকে রাত দেড়টার পায়ে হেটে পাপ্পু তার বন্ধু বিজয়কে সঙ্গে নিয়ে ভাঙ্গা বাজার থেকে লোহাগড়ার উদ্দেশ্যে রওনা হন।
এ সময় স্বর্ণপট্টি পার হতেই না হতেই বাজারের মধ্যে এএসআই বাবুল ও তার সহযোগী যুবক মৃদুল তাদের গতিরোধ করেন। এসময় পাপ্পু চোরাই স্বর্ণ পাচার করছেন এমন অভিযোগে তাকে অস্ত্রের মুখে নানা ভয়ভীতি প্রদর্শন করেন এএসআই বাবুল। পরে পাপ্পুর দুই পকেটে থাকা মোট ১১টি স্বর্ণের বারের মধ্যে চারটি স্বর্ণের বার ও একটি মোবাইল ছিনিয়ে নেন এএসআই বাবুল। পরে তাদের সেখান থেকে চুপচাপ চলে যেতে বলেন এএসআই বাবুল ও তার সহযোগী মৃদুল মুন্সী।
এরপর গত ১৩ জুলাই সকালে পাপ্পু বিশ্বাস নামের ওই স্বর্ন ব্যবসায়ী ভাঙ্গা থানার এএসআই বাবুল ও তার আরও এক সহযোগীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন। পরে ওই মামলায় বুধবার দুপুরে ওই মামলায় প্রধান আসামী এএসআই বাবুলের স্বীকারোক্তি ও তার দেয়া তথ্যমতে ভাঙ্গা পৌরসভার কাপুড়িয়া সদরদীর গ্রামের একটি ভাড়া বাসা থেকে ছিনতাই হওয়া চারটি স্বর্ণের বারসহ মোট চল্লিশ ভরি স্বর্ণ উদ্ধার করে পুলিশ।