আইএমএফের ঋণ: দর কষাকষির জন্য অন্য কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী

আইএমএফের ঋণ: দর কষাকষির জন্য অন্য কথা বলেছিলেন অর্থমন্ত্রী

আর্থিক খাতের আন্তর্জাতিক সংস্থা আইএমএফের কাছ থেকে ঋণ পাওয়ার জন্য চিঠি দিয়েছেন বলে স্বীকার করেছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল। গত সপ্তাহ আগে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেছিলেন বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত আইএমএফের কাছে কোন অর্থ সহায়তা চায়নি। আইএমএফও বাংলাদেশের কাছে এ ধরনের কোনো প্রস্তাব করেনি। এই মুহূর্তে বাংলাদেশের আইএমএফের কোন সহযোগিতার প্রয়োজন নেই। এবার দুই রকম কথা বলার ব্যাখ্যা দিলেন তিনি। বললেন, ‘দর কষাকষির সুবিধার জন্য’ তিনি চার দিন আগে সংবাদমাধ্যমকে অন্য কথা বলেছিলেন।

বুধবার দুপুরে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত এ বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন অর্থমন্ত্রী নিজেই।

তিনি বলেন, আমি যদি আমার চাহিদা এক্সপোজ করে দিই, তাহলে আমার ওপর ঋণের বার্ডেন বা কস্ট তারা বেশি নেবে। সেজন্য ‘নেব, নিচ্ছি, বা প্রয়োজন নেই,’ এই কথাগুলো বলে ম্যানেজ করতে হয়। তাতে করে আমরা লাভবান হই।

চলমান অর্থনৈতিক সঙ্কটের মধ্যে আইএমএফের কাছ থেকে বাংলাদেশের ঋণ চাওয়ার বিষয়টি বেশ কিছু দিন ধরেই আলোচনায় রয়েছে। মঙ্গলবার কয়েকটি সংবাদ মাধ্যমে আইএমএফ এর কাছে বাংলাদেশের ৪ দশমিক ৫ বিলিয়ন ডলার ঋণ সহায়তা চাওয়ার খবর প্রকাশ পায়।

বুধবার সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির বৈঠক শেষে এ বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে পড়ে আইএমএফকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি স্বীকার করে নেন তিনি।

অর্থমন্ত্রী বলেন, “আমরা ডলার প্রিন্ট করি না, ডলার অর্জন করতে হয়। রেমিটেন্স ও রপ্তানি আয়ের মাধ্যমে আমরা ডলার অর্জন করি। এর মাঝে খারাপ কিছু হয়নি। এটা খুব সহজ জিনিস। আপানারা আমার জায়গায় থাকলে একই কাজ করতেন। আমরা বার্গেইন করে এভাবে ঋণ নিই। শক্ত কোনো টার্ম অ্যান্ড কন্ডিশনস যেন ঋণের মধ্যে ঢুকে না যায়, সেদিকে আমাদের লক্ষ্য রাখতে হয়।”

তিনি বলেন, “আমরা অর্থ চাইব বলেছি। কিন্তু কত লাগবে সেটা আমরা বলি নাই। তারা কী শর্তে দিতে চাচ্ছে আমরা সেটা দেখব। তারা যদি পজিটিভলি এগিয়ে আসে এবং কম রেটে পাই, তাহলে ইন দ্যট কেইস, আমরা বিবেচনা করতে পারি। আমরা বিবেচনা করবই- এমন কোনো প্রস্তাব আমরা দিইনি।”

আইএমএফকে চিঠি দেয়ার বিষয়টি কেন প্রকাশ করা হল না- এমন প্রশ্নের উত্তরে মুস্তফা কামাল বলেন, “তখন ওদের সঙ্গে আমাদের আলোচনা হচ্ছিল। আমরা চাচ্ছিলাম আমাদের সক্ষমতাগুলো তারা বুঝুক। সে কারণে তখন এটা পাবলিক করা হয়নি। আমরা ভালোভাবেই হ্যান্ডেল করে যাচ্ছি।”