বিপাকে নগরবাসী

রাজধানীতে গণপরিবহন কম, ভাড়া দ্বিগুণ

রাজধানীতে গণপরিবহন কম, ভাড়া দ্বিগুণ

দেশে জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণার পর প্রভাব পড়তে শুরু করেছে পরিবহন খাতে। সরকার এখনো ভাড়া নির্ধারণ না করে দিলেও ইচ্ছেমতো ভাড়া নেয়ার অভিযোগ করছেন যাত্রীরা। তা ছাড়া দূরপাল্লা ও রাজধানীর অভ্যন্তরীণ রুটগুলোতে দেখা দিয়েছে পরিবহন সংকট।

কোনোরকম ঘোষণা ছাড়াই গণপরিবহন এমন সংকটের কারণে গন্তব্যে যেতে পারছেন না অনেকেই।

শনিবার (৬ আগস্ট) রাজধানীর ফার্মগেট, মগবাজার, বাংলামোটরসহ বিভিন্ন পয়েন্ট ঘুরে দেখা গেছে, রাজধানীতে অর্ধেকেরও কম গাড়ি চলাচল করছে।

যাত্রীদের অভিযোগ, তারা দীর্ঘ সময় ধরে গাড়ি পাচ্ছেন না। এতে অফিসগামীরা পড়েছেন ভোগান্তিতে। খুব কমসংখ্যক গণপরিবহন চলায় যাত্রীদের ভিড়ও বেশি।

তেলের দাম বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভাড়াও বাড়িয়ে নিচ্ছে। ১০ টাকার ভাড়া ১৫ টাকা, ২০ টাকার ভাড়া ৪০ টাকা বা তারও বেশি নেয়া হচ্ছে। যাত্রীদের সঙ্গে বাসের হেল্পারদের তর্কাতর্কিও দেখা গেছে।

শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বাসের ভাড়া হঠাৎ করে বাড়ানো হয়েছে। তারা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আইডি কার্ড দেখানোর পরও হাফ ভাড়া নেয়া হচ্ছে না।

এদিকে সকালেও পেট্রল পাম্পগুলোতে উপচেপড়া ভিড় দেখা গেছে। নতুন নির্ধারিত দামেই তেল কিনতে হচ্ছে ক্রেতাদের।

উল্লেখ্য, হঠাৎ করেই জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে সরকার। শুক্রবার (৫ আগস্ট) রাত ১০টার দিকে তেলের দাম বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। এতে বলা হয়, বিশ্ববাজারের সঙ্গে জ্বালানি তেলের মূল্য সমন্বয় করতেই ডিজেল, কেরোসিন পেট্রল এবং অকটেনের নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে।

নতুন ঘোষণা অনুযায়ী, ডিজেল ও কেরোসিনের লিটার ৮০ থেকে ১১৪ টাকা, অকটেনের লিটার ৮৯ থেকে ১৩৫ টাকা, পেট্রলের লিটার ৮৬ থেকে করা হয়েছে ১৩০ টাকা। শুক্রবার রাত ১২টা থেকে জ্বালানি তেলের বর্ধিত দাম কার্যকর হয়।

তেলের দাম বাড়ার খবরে দেশের বিভিন্ন জেলায় রাত ১২টার আগেই পেট্রল পাম্প বন্ধ করে দেয়া হয়। এতে চরম বিপাকে পড়েন অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন চালকরা। তেল না পেয়ে বিক্ষোভ করেন ক্রেতারা।

এদিকে তেলের দাম বাড়ানোর প্রতিবাদে চট্টগ্রাম মহানগরে সকাল থেকে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপ।