কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

কলেজছাত্রকে বিয়ে করা সেই শিক্ষিকার লাশ উদ্ধার

প্রেম মানে না কোনও বাধা। সেখানে বয়স তো মাত্র একটি সংখ্যা। তেমনই একটি ঘটনা ঘটেছিল নাটোরে। ফেসবুকে প্রেমের পর শিক্ষিকাকে বিয়েও করেছিলেন কলেজছাত্র। কিন্তু ছাত্রকে বিয়ের ছয় মাসের মাথায় আত্মহত্যা করলেন সেই শিক্ষিকা।

শনিবার (১৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ৩টার দিকে নাটোর শহরের বলারিপাড়া এলাকার ভাড়া বাসায় এ ঘটনা ঘটে। রোববার (১৪ আগস্ট) সকালে তার মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।

নিহত খাইরুন নাহার (৪০) গুরুদাসপুর খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক ছিলেন। মামুন (২২) নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

এলাকাবাসী জানান, রাত তিনটার দিকে শিক্ষিকার স্বামী মামুন এলাকাবাসীকে ডেকে জানান, তার স্ত্রী খায়রুন নাহার গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন। এলাকাবাসী ছুটে গিয়ে তার ঘরের মেঝেতে মরদেহ দেখতে পান। এ বিষয়ে সন্দেহ হলে এলাকাবাসী মামুনকে আটকে রেখে পুলিশে খবর দেয়।

পুলিশ ঘটনার ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরি করে। পরে মামুনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে।

জানা গেছে, গুরুদাসপুর উপজেলার খুবজীপুর এম হক ডিগ্রি কলেজের সহকারী অধ্যাপক মোছা. খাইরুন নাহার প্রথমে বিয়ে হয়েছিল রাজশাহীর বাঘায়। সেখানে তার এক সন্তানও রয়েছে। তবে পারিবারিক কলহে ওই সংসার বেশি দিন টেকেনি। তারপর কেটে যায় অনেক দিন। এরই মাঝে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে পরিচয় হয় ২২ বছরের যুবক মামুনের সঙ্গে। মামুনের বাড়ি একই উপজেলার ধারাবারিষা ইউনিয়নের পাটপাড়া গ্রামে। তিনি নাটোর এনএস সরকারি কলেজের ডিগ্রি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র।

ফেসবুক ম্যাসেঞ্জারে ২০২১ সালের ২৪ জুন তাদের প্রথম পরিচয়। তারপর গড়ে ওঠে প্রেমের সম্পর্ক। তারপর ২০২১ সালের ১২ ডিসেম্বরে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। সপ্তাহ খানেক আগে তাদের বিয়ের বিষয়টি ছড়িয়ে পড়ে।