ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: এএসপি মহরমসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ

ছাত্রলীগকে লাঠিপেটা: এএসপি মহরমসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ

বরগুনায় জাতীয় শোক দিবসে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ এবং পরে পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনায় বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের উপমহাপরিদর্শক (ডিআইজি) এসএম আক্তারুজ্জামানের করা তদন্ত কমিটি তাদের তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।

এতে বরগুনা থেকে বর্তমানে চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হওয়া অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) মহরম আলীসহ ১৯ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণের সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি। সোমবার সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বরিশাল রেঞ্জ পুলিশের ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ছাড়া বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বাকি যে ১৮ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্য রয়েছেন তাঁদের মধ্যে একজন পুলিশ পরিদর্শক, ৬ জন উপপুলিশ পরিদর্শক (এসআই), ৪ জন সহকারী উপপুলিশ পরিদর্শক (এএসআই), নায়েক একজন ও ৬ জন কনস্টবল।

ডিআইজি এসএম আক্তারুজ্জামান সোমবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বলেন, গত ১৫ আগস্ট ঘটনার দিন এসব পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যরা অতিরিক্ত বলপ্রয়োগ ও অপেশাদার আচরণ করেছেন বলে তদন্তে প্রতীয়মান হয়েছে। সে ক্ষেত্রে তাঁদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থার সুপারিশ করা হয়েছে। অতিরিক্ত পুলিশ সুপারসহ কর্মকর্তাদের তদন্ত প্রতিবেদনের বিষয়টি পুলিশ সদর দপ্তরে পাঠানো হয়েছে। কনস্টবলদের ব্যাপারে জেলা পুলিশের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে প্রতিবেদন পাঠিয়ে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।

গত ১৫ আগস্ট জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বরগুনা জেলা ছাত্রলীগের শোক মিছিলে সংগঠনের প্রতিপক্ষ ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে হামলা চালায়। জেলা শিল্পকলা একাডেমির সামনে এ ঘটনার সময় ইটপাটকেলে পুলিশের গাড়ির কাঁচ ভেঙে যায়। এ সময় পুলিশ ছাত্রলীগের ওই পক্ষকে নিবৃত্ত করতে লাঠিপেটা করে।

বরগুনা-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভুর সামনেই পুলিশের লাঠিপেটার ঘটনা ঘটে। এ সময় সংসদ সদস্য ধীরেন্দ্র দেবনাথ শম্ভু ও কর্তব্যরত অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মহররম আলীর মধ্যে উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়। এ ঘটনা তদন্তে সোমবার রাতেই বারশালের অতিরিক্ত ডিআইজি মো. ফারুক উল হককে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছিলেন ডিআইজি।