দেশ থেকে পালানোর সময় পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগী গ্রেপ্তার

দেশ থেকে পালানোর সময় পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগী গ্রেপ্তার

দেশ থেকে পালানোর সময় প্রতারণার মাধ্যমে পিপলস লিজিং অ্যান্ড ফাইন্যান্স লিমিটেড কোম্পানির প্রায় দুইশ কোটি টাকা আত্মসাৎকারী পি কে হালদারের দুই নারী সহযোগীকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব)।

গত রাতে দেশ ত্যাগের সময় তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। এ তথ্য জানিয়েছেন র‌্যাবের লিগ্যাল আ্যন্ড মিডিয়া উইংয়ের সহকারী পরিচালক এএসপি আ ন ম ইমরান খান। এ নিয়ে আজ দুপুরে কারওয়ান বাজার মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে র‌্যাবের পক্ষ থেকে বিস্তারিত জানানো হবে।

উল্লেখ্য, গত ১৪ই মে পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা থেকে প্রতারক পি কে হালদারকে গ্রেপ্তার করে ভারতের আর্থিক দুর্নীতিসংক্রান্ত তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। এসময় পি কে হালদারের পাঁচ সহযোগীকেও গ্রেপ্তার করে সংস্থাটি। গ্রেপ্তারের আগে রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে পি কে হালদারের প্রাসাদের মতো বাড়িসহ বিপুল পরিমাণ সম্পদের সন্ধান পায় ইডি।

৭ জুন ইডি আদালতকে জানায়, পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন এলাকায় পি কে হালদারসহ তার সহযোগীদের ৮৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের সন্ধান পাওয়া গেছে। তাদের ৩০০ কোটি টাকার সম্পদ পাওয়ার কথাও ইডি আদালতকে জানিয়েছে।

এদিকে বাংলাদেশের দুর্নীতি দমন কমিশন ২০২০ সালের ৮ জানুয়ারি পি কে হালদারের বিরুদ্ধে ২৭৫ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলার অভিযোগে বলা হয়, পলাতক পি কে হালদার তার নামে অবৈধ উপায়ে এবং ভুয়া কোম্পানি ও ব্যক্তির নামে প্রায় ৪২৬ কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ গড়েছেন।

অবৈধ সম্পদের অবস্থান গোপন করতে ১৭৮টি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে অর্থ লেনদেন করেন পি কে হালদার। তিনি এসব অ্যাকাউন্টে ৬ হাজার ৮০ কোটি টাকা জমা রাখেন। পাশাপাশি এসব অ্যাকাউন্ট থেকে তার নামে ও বেনামে আরও ৬ হাজার ৭৬ কোটি টাকা উত্তোলন করেন।

দুদকের তথ্য বলছে, পি কে হালদার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের অন্তত ১১ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করেছেন।