নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত মন্ত্রী পর্যায়ের জেআরসি বৈঠক শুরু

নয়াদিল্লীতে বাংলাদেশ-ভারত মন্ত্রী পর্যায়ের জেআরসি বৈঠক শুরু

ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লীতে সুষমা স্বরাজ ভবনে আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে দীর্ঘ প্রতীক্ষিত বাংলাদেশ ও ভারত যৌথ নদী কমিশনের (জেআরসি) মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।

বৈঠকে ভারতের পানিশক্তি মন্ত্রী গজেন্দ্র সিং শাখাওয়াৎ ও বাংলাদেশের পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক নিজ নিজ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।

বাংলাদেশের পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী এ কে এম এনামুল হক শামীম বৈঠকে অংশ নিয়েছেন।

বৈঠক সূত্র জানায়, এর আগে মঙ্গলবার জেআরসি’র সচিব পর্যায়ের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। দু’দেশের কর্মকর্তারা এ সময় উভয় পক্ষের মধ্যে পানি বণ্টন ও অন্যান্য ইস্যু নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছেন।

চলতি বৈঠকে দু’পক্ষ দীর্ঘদিন ধরে অমীমাংসিত কিছু ইস্যুর নিষ্পত্তি করবে।

সূত্র আরো জানায়, আজকের বৈঠকে সংশ্লিষ্ট ইস্যুগুলোর নিষ্পত্তি করা হবে। আগামী মাসে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরকালে এসব দলিলপত্র স্বাক্ষরিত হতে পারে।

কূটনৈতিক সূত্রগুলো জানিয়েছে, বৈঠকের পর যৌথ বিবৃতি দেয়া হতে পারে।

সূত্রগুলো এর আগে জানিয়েছে, আজকের বৈঠকে দু’পক্ষ গঙ্গার পানি বণ্টনের ওপর যৌথ সমীক্ষা চূড়ান্ত এবং কুশিয়ারা নদী থেকে পানি প্রত্যাহারের ব্যাপারে একটি চুক্তি চূড়ান্ত করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বৈঠকে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীর পানি প্রবাহের উপাত্ত বিনিময়ের বিষয়েও একটি সমঝোতা স্মারক চূড়ান্ত হবে।

এর আগে বাংলাদেশ পানিসম্পদ মন্ত্রণালয় জানায়, বৈঠকে বাংলাদেশ দীর্ঘ-প্রতীক্ষিত তিস্তা ইস্যুটি উত্থাপন করবে। এছাড়াও ছয়টি অভিন্ন নদী- মনু, মুহুরী, খোয়াই, গোমতী, ধরলা ও দুধকুমার নিয়ে একটি কাঠামো চুক্তিও চূড়ান্ত করা হবে।

এছাড়া, গঙ্গার পানি বণ্টন চুক্তি নবায়ন সম্পর্কিত ইস্যুগুলো নিয়েও বৈঠকে আলোচনা হবে।

১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে ৩০ বছর মেয়াদী গঙ্গার পানি বণ্টনের বিষয়ে যুগান্তকারী চুক্তিটি স্বাক্ষরিত হয়। ২০২৬ সালের শেষ দিকে চুক্তির মেয়াদ শেষ হবে।

২০২০ সালের মার্চ মাসে সর্বশেষ মন্ত্রী পর্যায়ের জেআরসি বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।