সুইস ব্যাংকে অর্থপাচার

বিএফআইইউ কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব

বিএফআইইউ কর্মকর্তা মাসুদ বিশ্বাসকে হাইকোর্টে তলব

সুইস ব্যাংকে বাংলাদেশীদের অর্থ সংক্রান্ত বিষয়ে পাওয়া তথ্য প্রতিবেদন আকারে সোমবার হাইকোর্টে জমা দেয় বাংলাদেশ ফিন্যান্সিয়াল ইন্টেলিজেন্স ইউনিট (বিএফআইইউ)। তবে মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি খিজির হায়াতের দ্বৈত বেঞ্চ বলে, প্রতিবেদনে কোন সিল এমনকি স্বাক্ষর নেই। এটি দায়সারা কাজ।

হাইকোর্ট বলে, এভাবে কাজ করলে আপনার দুর্নীতি কিভাবে বন্ধ করবেন। দুদকের আইনজীবী হাইকোর্টকে বলেন, এটি কোনভাবে গ্রহনযোগ্য নয়।

পরে প্রতিবেদনটি গ্রহন না করে, বিএফআইইউ প্রধানকে তলব করে হাইকোর্ট। এর আগে রাষ্ট্রপক্ষ জানায়, ৬৭ জনের তথ্য চাওয়া হলেও মাত্র ১ জনের বিষয়ে তথ্য দিয়েছে সুইস ব্যাংক।

এর আগে রাষ্ট্রদূতের দেয়া বক্তব্যের প্রেক্ষিতে আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে আদেশ দিয়েছিলেন। আদেশে সুইস ব্যাংকে অবৈধভাবে বাংলাদেশীরা যেসব অর্থ জমা রেখেছেন বা পাচার হয়েছে এ বিষয়ে সরকার বা দুদক কোন পদক্ষেপ নিয়েছে কিনা তা জানাতে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।

আদালত স্বপ্রনোদিত হয়ে দুদক এবং রাষ্ট্রপক্ষের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেন। আদালত সংবাদের রেফারেন্স টেনে জানতে চান কি পরিমাণ অর্থ সুইস ব্যাংকে পাচার হয়েছে এবং এ বিষয়ে সরকার ও দুদক কি পদক্ষেপ নিয়েছে তা জানানোর নির্দেশ দেন। এ সময় আদালত বলেন এ সংক্রান্ত পত্র-পত্রিকা সহ দুদক আইনজীবী এবং রাষ্ট্রপক্ষকে বিষয়টি অবহিত করতে নির্দেশ দেন।