দুঃখ ঘুচেনি তিস্তাপাড়ের মানুষের, কবে হবে চুক্তি

দুঃখ ঘুচেনি তিস্তাপাড়ের মানুষের, কবে হবে চুক্তি

তিস্তার ক্ষতটা অনেক দিনের। এ নিয়ে দু'দেশের যত কথা হয়েছে, তার অর্ধেক পানি এলেও, উত্তরবঙ্গের মানুষের জীবন হতে পারতো অন্য রকম। শুষ্ক মৌসুমে পানি সংকট আর বর্ষায় প্রবল বন্যা। সেইসাথে ভাঙনে নিঃস্ব তিস্তাপাড়ের মানুষ।

দু'বছর ধরে তিস্তা মহাপরিকল্পনার কথা শোনা গেলেও, প্রকৃত অবস্থা জানা নেই কারও। তাইতো ফের প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফর ঘিরে আশায় বুক বেঁধেছেন সবাই।

স্থানীয়রা বলছেন, ভাঙ্গনে জায়গা জমি সব হারিয়েছি। আমাদের আর যাওয়ার জায়গা নেই। আশা করি প্রধানমন্ত্রী যদি একটু আমাদের বিষয়গুলো নিয়ে ভারতের সঙ্গে কথা বলেন, তাহলে আমরা এই কষ্ট থেকে রেহাই পেতে পারি।

সচেতন মহল বলছেন, তিস্তা ইস্যু সমাধান করার এখনই সময়। না হলে এই সুযোগ কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে অপশক্তিরা।

কুড়িগ্রামের উন্নয়নকর্মী আহসান হাবীব লীলু বলেন, পানির জন্যে সম বণ্টন হয় তবে এই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। আর আইনজীবী এসএম আব্রাহাম লিংকন বলেন, শুষ্ক মৌসুমে পানির আকালে আবার বর্ষায় বন্যাতে সব ভাসায় নিয়ে যাচ্ছে। এই জায়গাটার একটা সমন্বয় হওয়া উচিত।

পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আবদুল্লাহ আল মামুন বলছে, তিস্তা মহাপরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে, উন্নয়নে ভাসবে উত্তরাঞ্চল।

দুপাড়ের মানুষের কাছেই তিস্তা শুধু একটি নদী নয়, তাদের জীবন যুদ্ধের সাথে জড়িত একটি উপলক্ষ। এবারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুপাড়ের মানুষ আসায় বুক বেঁধে আছেন, এবার তিস্তা সমস্যার সমাধান হবে। একই সঙ্গে দ্রুত বাস্তবায়ন হবে তিস্তা মহাপরিকল্পনার।