রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিচার শুরু

রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যার বিচার শুরু

আলোচিত রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ হত্যা মামলায় ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে চার্জ গঠন হয়েছে। গতকাল দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ ইসমাইলের আদালতে চার্জ গঠন হয়। এই মামলায় ২৯ জন আসামির মধ্যে চার্জ গঠনের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন ১৫ জন। বাকিরা পলাতক রয়েছে। পরবর্তী বিচার কার্যের জন্য আদালত শিগগিরই সময় নির্ধারণ করবে বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ফরিদুল আলম। তিনি জানান, সাক্ষীদের সমন জারি করা হবে, যাতে দ্রুত সময়ের মধ্যে সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য সম্পন্ন করে বিচার কার্যক্রম শেষ করা হয়। ২০২১ সালে ২৯শে সেপ্টেম্বর রাতে উখিয়ার লাম্বাশিয়া আশ্রয় শিবিরের ডি ব্লকের ‘আরাকান রোহিঙ্গা সোসাইটি ফর পিস অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস’ (এআরএসপিএইচ) সংগঠনের কার্যালয়ে বন্দুকধারীদের গুলিতে নিহত হন রোহিঙ্গা নেতা মুহিবুল্লাহ। তিনি ওই সংগঠনের চেয়ারম্যান ছিলেন। হামলার জন্য মিয়ানমারের সশস্ত্র গোষ্ঠী ‘আরাকান স্যালভেশন আর্মির’(আরসা) কয়েকজন অস্ত্রধারীর নাম প্রচার করা হয়।

পরদিন ৩০শে সেপ্টেম্বর মুহিবুল্লাহর ছোট ভাই হাবিবুল্লাহ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় হত্যা মামলা করেন। মামলার তদন্ত করেন উখিয়া থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী সালাহ উদ্দিন।

দীর্ঘ তদন্ত শেষে ১৩ই জুন তিনি ২৯ জন আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। যদিও এ হত্যাকাণ্ডের নেপথ্যের নায়ক আর প্রধান আতাউল্লাহ আবু আম্মর জনুনীকে তার সঠিক নাম ঠিকানা পাওয়া যায়নি উল্লেখ করে দায় মুক্তি দিয়েছেন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন উখিয়া থানার ওসি তদন্ত গাজী সালাহ উদ্দিন। এই মামলার সাক্ষী ৩৮ জন। চার্জ গঠন হওয়া ২৯ জন আসামি হলো: তদন্ত কর্মকর্তার দাখিল করা অভিযোগপত্রে ১ নম্বর আসামি করা হয়েছে আরসা নেতা ও রোহিঙ্গা মোহাম্মদ ছলিমকে।

তিনি উখিয়ার কুতুপালং আশ্রয় শিবিরের নুর বশরের ছেলে। এরপর যথাক্রমে আছে একই ক্যাম্পের শওকত উল্লাহ, মোহাম্মদ সালাম, জিয়াউর রহমান, মো. ইলিয়াছ, মো. আজিজুল হক, মোর্শেদ প্রকাশ মুর্শিদ, নুর মোহাম্মদ, আনাস, নজিম উদ্দিন, আবুল কালাম প্রকাশ আবু, হামিদ হোসেন, সিরাজুল মোস্তফা ওরফে সিরাজুল্লাহ ওরফে সিরাজ, মৌলভি মো. জকোরিয়া, খাইরুল আমিন, মাস্টার আবদুর রহিম ওরফে রকিম, জাহিদ হোসেন ওরফে লালু, ফয়েজ উল্লাহ, ছমির উদ্দিন ওরফে ছমি উদ্দিন ওরফে নুর কামাল, সালেহ আহমদ, মোজাম্মেল ওরফে লাল বদিয়া, তোফাইল, মাস্টার শফি আলম, আবদুস সালাম ওরফে জাকের মুরব্বি, জকির, হাফেজ আয়াছ, মাস্টার কাশিম, মাস্টার শুক্কুর আলম ও মোস্তফা কামাল। পুলিশ জানিয়েছে, এই মামলায় আটক ১৫ জন আসামি বিভিন্ন সময়ে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে।