শীতকালীন সবজির দাম বাড়তি, বেড়েছে চাল-মুরগিরও

শীতকালীন সবজির দাম বাড়তি, বেড়েছে চাল-মুরগিরও

সপ্তাহের ব্যবধানে বাজারে বেড়েছে সবজির দাম। শীতকালীন সবজি বাজারে ওঠার কারণেও দাম বাড়তি।

একই সঙ্গে বেড়েছে চাল ও মুরগির দাম। অন্য সব পণ্যের দাম অপরিবর্তিত। শুক্রবার (৭ অক্টোবর) সকালে রাজধানীর মিরপুর ১১ নম্বরের বাজার ঘুরে এসব চিত্র উঠে এসেছে।
রাজধানীতে শীত পড়তে না শুরু করলেও বাজারে উঠেছে মৌসুমের সবজি। আকার ভেদে বিক্রি হচ্ছে ফুলকপি, বাঁধাকপি, শসা, বেগুনসহ অন্যান্য সবজি।

বাজার ঘুরে জানা গেছে, দুই ধরনের কপি আকার ভেদে ৫০ থেকে ৬০ টাকা; শসা প্রতিকেজি ৮০ থেকে ৯০; লম্বা ও বেগুন ৯০ থেকে ১০০; টমেটো ১২০ থেকে ১৪০ টাকা দরে বিক্রি হচ্ছে।

সিমের দাম কেজি ১২০ থেকে ১৪০ টাকা; করলা ৮০; চাল কুমড়া পিস ৬০; লাউ আকারভেদে বিক্রি হচ্ছে ৬০ থেকে ৭০; মিষ্টি কুমড়া ৫০; চিচিঙ্গা ৬০; পটল ৬০; ঢেঁড়স ৭০; কচুর লতি ৮০; পেঁপে ৪০; বরবটি ৮০ ও ধুন্দল বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকা কেজিতে।

বাজারে কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে কেজি প্রতি ৮০ থেকে ১০০ টাকায়। কাঁচা কলার হালি ৫০; লেবুর হালি বিক্রি হচ্ছে ১৫ থেকে ২০ টাকায়।

১১ নম্বর বাজারের সবজি বিক্রেতা মো. আসলাম বলেন, শীত না এলেও শীতকালীন সবজি বাজারে এসেছে। দামও বেশি। সবজির সরবরাহ বাজারে কম থাকায় দাম বাড়তি।

সবজি ছাড়াও বাজারে আলুর কেজি ৩০ থেকে ৪০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। কমেছে পেঁয়াজের দাম, বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকা কেজি। ভারতীয় পেঁয়াজের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৪৫ টাকা। রসুনের কেজি ৪০ থেকে ৪৫ টাকা। বাজারে চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। আদার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ১১০ টাকায়।

দেশি মুশুরের ডালের কেজি ১৪০ টাকা। ইন্ডিয়ান মুশুরের ডালের কেজি ১০০। লবণের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩৮ থেকে ৪০ টাকা। বাজারে ভোজ্যতেল বিক্রি হচ্ছে ১৯৫ টাকায়।

মিরপুরের বাজারগুলোয় চালের দাম এখনও বাড়তি। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ৫৫ থেকে ৫৬ টাকায়; বিআর ২৮ চালের দাম দুই টাকা বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫৮ থেকে ৬০; মিনিকেট কেজি ৬৮ থেকে ৭০; মান ভেদে নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ৭৫ থেকে ৮৫ টাকায়।

চাল বিক্রেতা কামাল সরকার বলেন, সিন্ডিকেটের কারণে চালের দাম বাড়তি। দুয়েক ধরনের চালের দাম অবশ্য কমেছে। কিন্তু বাকিসব বাড়তির দিকেই।

বাজারগুলোয় ডিম বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। ফার্মের মুরগির লাল ডিমের ডজন ১৪৫ থেকে ১৫০ টাকা। হাঁসের ডিমের ২১০ থেকে ২২০ টাকা। দেশি মুরগির ডিমের ডজন ২১০ টাকা।

বাজারে গরুর মাংসের কেজি ৬৬০ থেকে ৬৮০ টাকা। খাসির মাংসের কেজি বিক্রি হচ্ছে ৯০০ থেকে ৯৫০ টাকায়। বাজারে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়ে কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৭০ থেকে ১৯০ টাকায়। সোনালি মুরগি ৩১০ থেকে ৩২০ টাকা; লেয়ার মুরগির ২৯০ থেকে ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

মিরপুর ১১ নম্বর বাজারের মুরগি বিক্রেতা কামরুল বলেন, পোল্ট্রি ফার্মের মালিকদের অজুহাতের শেষ নেই। একেক সময় একেক কারণে মুরগির দাম বাড়িয়ে দিচ্ছে। এখন বলছে উৎপাদন কম, যে কারণে দাম বেড়েছে।

বাজারে আসার ভোক্তাদের অভিযোগের তালিকাও দীর্ঘ। সকলেই সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বাজার দর কমানোর আহ্বান করেছেন।