মাগুরায় ভোটের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

মাগুরায় ভোটের সংবাদ সংগ্রহে সাংবাদিকদের বাধা দেওয়ার অভিযোগ

মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনে ভোট কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশ করতে দেওয়া হচ্ছে না বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আজ সোমবার মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্রে অন্তত এক ডজন সাংবাদিক এমন অভিযোগ করেছেন। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় থেকে দাবি করা হচ্ছে, সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই।

আজ সকাল ১০টায় মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ চত্বরে গিয়ে দেখা যায়, সংবাদ সংগ্রহের জন্য বেশ কয়েকজন সাংবাদিক বাইরে অপেক্ষা করছেন। তবে তাদের কাউকেই সকাল থেকে ভোট কক্ষে যেতে দেওয়া হয়নি।

মাগুরা সদর উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্রে দায়িত্বরত প্রিসাইডিং কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন কবির বলেন, ভোট কক্ষে ভোটার, প্রার্থীদের এজেন্ট ও নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিদের বাইরে কাউকেই প্রবেশ করতে দেওয়ার অনুমতি নেই। সাংবাদিকদের দরজার বাইরে থেকে ভোট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করতে হবে এবং ভেতরের ছবি কেউ তুলতে পারবেন না।

মাগুরায় বেসরকারি টেলিভিশন এখন টিভির জেলা প্রতিনিধি রূপক আইচ বলেন, ‘আমরা অতীতে বহু নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করেছি, কিন্তু কখনো ভোট কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়নি। নির্বাচন পর্যবেক্ষণে সাংবাদিকদের যে পরিচয়পত্র দেওয়া হয়েছে, তাতে স্পষ্ট নির্দেশনা আছে একসঙ্গে দুজনের বেশি সাংবাদিক ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে এবং ১০ মিনিটের বেশি অবস্থান করতে পারবেন না। তার অর্থ হচ্ছে, ভোট কক্ষে সাংবাদিকদের প্রবেশে কোনো বাধা নেই। তবে গোপন কক্ষে প্রবেশ বা ছবি তুলতে নিষেধ আছে। দায়িত্বশীল সাংবাদিকেরা সেটা জানেন। কিন্তু এখানে বলা হচ্ছে, সাংবাদিকদের ভোট কক্ষে প্রবেশের অনুমতি নেই।’

একাত্তর টিভির জেলা প্রতিনিধি শরীফ তেহরান আলম বলেন, ‘ভোট কক্ষে যদি সাংবাদিকেরা প্রবেশ না করেন, তাহলে ভেতরে কী হচ্ছে, এটা তাঁরা কীভাবে বুঝবেন? এভাবে সাংবাদিকদের কাজে বাধা দেওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সন্দেহ তৈরি হয়।’

মাগুরা জেলা পরিষদ নির্বাচনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা নির্বাচন অফিসার মো. অলিউল ইসলাম বলেন, ভোট কক্ষে সাংবাদিকেরা প্রবেশ করতে পারবেন, তবে গোপনকক্ষে যেতে পারবেন না। ভোট কক্ষে প্রবেশ করতে না দেওয়ার কোনো নির্দেশনা নেই।

রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, নির্বাচনে মোট ৪৯৩ জন ভোটার। চেয়ারম্যান পদে তিনজন, সাধারণ সদস্য পদে ২০ জন ও নারী সাধারণ সদস্য পদে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। জেলার চারটি উপজেলা পরিষদ ভোটকেন্দ্রে ভোট গ্রহণ অনুষ্ঠিত হচ্ছে।

বেলা ১১টার দিকে জেলা পরিষদ নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তা জেলা প্রশাসক আশরাফুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘সাংবাদিকদের ভোট কক্ষে প্রবেশের অনুমতি নেই। নির্বাচন কমিশন সিসি ক্যামেরায় ভোট পর্যবেক্ষণ করছে। সেখানে ভোটারদের বাইরে অতিরিক্ত লোক প্রবেশ করলে সিসি ক্যামেরায় বোঝা যাবে না কে সাংবাদিক বা অন্য কেউ। আপনারা যদি ভোট কক্ষ পর্যবেক্ষণ করতে চান, আমার অফিসে সিসি ক্যামেরার মনিটর আছে সেখানে এসে দেখতে পারেন। সাংবাদিকদের ভোট কক্ষের বাইরে থেকেই সংবাদ সংগ্রহ করতে হবে।’